কলম্বো, ২১ সেপ্টেম্বর: নজিরবিহীন অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের পর শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়েছে শনিবার। স্থানীয় সময় সকাল সাতটায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে শেষ হয় বিকেল ৪টায়। ভোটগ্রহণ শেষে শুরু হয় ভোট গণনা। আনুষ্ঠানিক ফলাফল পাওয়া যেতে পারে আজ রবিবার। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের নতুন আইন অনুযায়ী, একজন ভোটার তিন প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন। কোনও প্রার্থী কমপক্ষে ৫০ শতাংশ বা তার চেয়ে বেশি ভোট পেলে, তাকে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে। আর কোনও প্রার্থী ৫০ শতাংশ ভোট না পেলে সবচেয়ে বেশি ভোট পাওয়া দুই প্রার্থীর মধ্যে দ্বিতীয় দফা বা রান–অফ ভোট হবে। মন্দার কারণে ২০২২ সালে হাজার হাজার মানুষ প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজপাকসের বাসভবনের সামনে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। রাজপাকসে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। পরে বিক্রমাসিংহে ক্ষমতায় বসেন। অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করা এবং কয়েক মাসের খাদ্য, জ্বালানি ও ওষুধের ঘাটতির অবসান ঘটাতে কৃতিত্বের দাবিদার বিক্রমাসিংহে এখন নতুনভাবে ম্যান্ডেট চাইছেন। তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন যে, শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি এখনও দুর্বল। ২০২২ সালে খেলাপি হওয়া ৪ হাজার ৬০০ কোটি ডলারের বিদেশি ঋণ এখনও পরিশোধ শুরু হয়নি। এ নিয়ে বিক্রমাসিংহে বলেন, তিনি নির্বাচিত হলে কঠোর কর্মসূচি হাতে নেবেন। জানা গেছে, প্রেসিডেন্ট হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে আছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে। শক্ত অবস্থানে আছেন বিরোধী দল সঙ্গী জন বালাওয়েগার (এসজেবি) নেতা সাজিথ প্রেমাদাসাও। লড়াইয়ে এগিয়ে থাকা আরেক প্রার্থী হলেন ন্যাশনাল পিপলস পাওয়ার পার্টির নেতা অনুড়া কুমার দিসানায়েক। এদিকে, রাজাপক্ষে পরিবার থেকে প্রার্থী হয়েছেন ৩৮ বছর বয়সী নমল রাজাপক্ষে। এই পরিবার থেকে অতীতে দু’জন প্রেসিডেন্ট ছিলেন। একজন হলেন নমলের বাবা মাহিন্দা ও অপরজন চাচা গোতাবায়া। নমল লড়ছেন শ্রীলঙ্কান পদুজন পেরামুনা (এসএলপিপি) দল থেকে। গত বুধবার মধ্যরাতে, অর্থাৎ ভোট গ্রহণের ৪৮ ঘণ্টা আগে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচার–প্রচারণা শেষ হয়। এ নির্বাচনে মোট প্রার্থী ৩৯ জন। তবে বর্তমানে লড়াইয়ে আছেন ৩৮ জন।