বেঙ্গালুরু, ২১ সেপ্টেম্বরঃ দিল্লির শ্রদ্ধা ওয়ালকার মার্ডার কেস, ঘুম কেড়েছিল সাধারণ মানুষের। খুনের পর শ্রদ্ধার দেহের ৩৫ টুকরো করে দেহাংশ ফ্রিজে ঢুকিয়ে রেখেছিল তার প্রেমিক আফতাব আমিন পুণাওয়ালা। এবার সেই দিল্লির ঘটনার ছায়া বেঙ্গালুরুতে। তরুণীকে খুন করে দেহের ৩০ টুকরো করা হল। এর পর তথ্য প্রমাণ লোপাট করতে দেহ ঢুকিয়ে রাখা হয়েছিল ফ্রিজে। ফ্ল্যাটের মধ্যে একটি ১৬৫ লিটারের সিঙ্গেল ডোর ফ্রিজের মধ্যে রাখা ছিল টুকরো টুকরো দেহ। বেঙ্গালুরুর মল্লেশ্বরমে এই নৃশংস খুনের ঘটনায় ফের প্রশ্নের মুখে নারী নিরাপত্তা। ভাইয়ালিকাভাল এলাকায় একটি এক কামরার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে ওই তরুণীর টুকরো টুকরো দেহ। পুলিশ খবর পেয়ে যায় ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে উদ্ধার করে নিহত তরুণীর দেহ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ১০-১৫ দিন আগে তরুণীকে হত্যা করা হয়েছে। তার পর দেহ কুচিয়ে ফ্রিজে ঢুকিয়ে রাখা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, এই নৃশংস খুনের পিছনে ত্রিকোণ প্রেমের কাহিনি থাকতে পারে। খুনের মোটিভ এখনও স্পষ্ট নয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, একটি বাড়ির তিনতলায় থাকতেন ওই তরুণী। মৃতার নাম মহালক্ষ্মী। ওই আবাসনে ভাড়া নিয়ে থাকতেন তিনি। মৃতা বিবাহিত ছিলেন, তার এক মেয়ে রয়েছে। তবে মহালক্ষ্মী স্বামীর সঙ্গে থাকতেন না। একাই ওই ঘরে থাকতেন তিনি। মৃতার স্বামীর নাম হুকুম সিং রাণা। জন্মসূত্রে মহালক্ষ্মী নেপালের বাসিন্দা ছিলেন। তবে বেশ কিছু বছর ধরে তিনি বেঙ্গালুরুতে আছেন।
প্রতিবেশীরা জনিয়েছে, কয়েক দিন ধরেই দরজা বন্ধ রয়েছে। কিন্তু ঘর থেকে দুর্গন্ধ বের হতে তারাই পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে। ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন ফরেন্সিক টিম, ডগ স্কোয়াড। ফরেন্সিক রিপোর্ট সংগ্রহ করা হয়েছে।
বেঙ্গালুরুর অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (পশ্চিম) সতীশ কুমার জানিয়েছেন, তরুণীর পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। ভাড়া নেওয়া ওই ফ্ল্যাটে গত কয়েকদিন ধরে কে কে এসেছিল সেই তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। ঘটনায় সন্দেহের তালিকায় রয়েছে এক মাঝবয়সি ব্যক্তি। ওই ব্যক্তি মৃতার তরুণীর পূর্ব পরিচিত বলে জানা গেছে। প্রায় সপ্তাহ দুয়েক আগে এই খুন হয়েছে বলে অনুমান।