মুম্বই, ১৭ সেপ্টেম্বরঃ নভেম্বরের মাঝামাঝি মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগেই ফের শিন্ডে সরকারকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মারাঠা কোটা নিয়ে আমরণ অনশন শুরু করলেন সংরক্ষণ আন্দোলনের নেতা মনোজ জারাঙ্গে পাটিল। তবে পুলিশ জারাঙ্গেকে এই অনশনের অনুমতি দেয়নি। জারাঙ্গের হুঁশিয়ারি আন্দোলনকে সমর্থনকারীদের উপর আক্রমণ চালালে তা মেনে নেওয়া হবে না। জারাঙ্গে পাটিল জালনা জেলার আম্বাদ তহসিলের তার গ্রাম অন্তরওয়ালি সারথী থেকে সোমবার মাঝরাত থেকে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেছেন। এটিকে সরকারের শেষ সুযোগ বলে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে, আন্দোনের নেতা জারাঙ্গে কুনবি শংসাপত্র জারি ও খসড়া বিজ্ঞপ্তি বাস্তবায়নের দাবিতে আরও একটি আমরণ অনশন শুরু করলেন।
মারাঠা সংরক্ষণ কর্মী মনোজ জারাঙ্গে পাটিল বলেছেন, যে সব মুসলিমদের কুনবি বর্ণের শংসাপত্র রয়েছে, তাদেরও মহারাষ্ট্রে অনগ্রসর শ্রেণী কোটার অধীনে সরকারি চাকরি ও শিক্ষায় সংরক্ষণ বাড়ানো উচিত। কুনবিরা মারাঠা সম্প্রদায়ের মধ্যে একটি উপ-জাতি যারা ইতিমধ্যে অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণী হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ।
জারাঙ্গে রাজ্যের উপ-মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীস এবং রাজ্যের মন্ত্রী, বর্ষীয়ান ওবিসি নেতা ছগান ভুজবলকে কটাক্ষ করে বলেছেন, মারাঠা সম্প্রদায় যা চাইছে, তা সরকার দিচ্ছে না। যদি সরকার তাদের দাবি মেনে না নেয়, তাহলে তারা সরকারকে তাদের কাছে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য করাবে।
২০২৩ থেকে ২৪ সালের মধ্যে এটি জারাঙ্গের সপ্তম আমরণ অনশন। জারাঙ্গে পাটিল জানান, তিনি অনির্দিষ্টকালের জন্য অনশন করবেন। এই অনশন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে ও উপ মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন তিনি।
লোকসভা নির্বাচনে মারাঠা সংরক্ষণের দাবি ও ওবিসি প্রতিরোধের কারণে বিজেপি নেতৃত্বাধীন মহাজ্যুতি জোট মহারাষ্ট্রে ধাক্কা খায়। মহারাষ্ট্রের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এবং সরকারি চাকরিতে মারাঠা সংরক্ষণের দাবিতে গত কয়েকমাস ধরেই আন্দোলন করেছিলেন মনোজ জারাঙ্গে। মারাঠিদের ব্যাপক সমর্থন পায় এই আন্দোলন। এই আন্দোনের জেরে চাপে পড়ে যায় শিন্ডে সরকার। শেষ পর্যন্ত সরকারের তরফে দাবি পূরণের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলে কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। কিন্তু তার পরেও মারাঠা সংরক্ষণ নিয়ে স্পষ্ট কোনও অবস্থান নিতে পারেনি মহাজ্যুতি সরকার। আন্দোলনকারিদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রুজু করে পুলিশ। ফলে ফের সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে আন্দোলনে নামলেন সংরক্ষণ নেতা জারাঙ্গে।