মুম্বই, ৪ সেপ্টেম্বর: ভারতের
মতো একটি দেশে যে বিবাহকে একটি আইনত প্রতিষ্ঠান বলে গণ্য করা হয়, কিন্ত সেই দেশেই বাড়ছে
ক্রমশ লিভ ইনের মতো ঘটনা। নয়া প্রজন্ম যতই এই সম্পর্ককে আধুনিকতার নাম দিক,
কিন্তু লিভ ইন সম্পর্কে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে ব্যাভিচার, সম্মানহানি, ধর্ষণ
থেকে খুনের মতো ঘটনা। মুম্বই একটি লিভ ইনের মামলায় পার্টনারের বিরুদ্ধে
ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছেন এক তরুণী। লিভ ইন পার্টনারের অভিযোগ তার সঙ্গিনী ১১ মাসের লিভ
ইন মৌ চুক্তিতে স্বাক্ষর করে সম্পর্কে আসে। যুবক চুক্তিপত্র আদালতে পেশ করেন। ওই যুবতী জানান, তিনি ওই চুক্তি পত্রে স্বাক্ষর করতে
অস্বীকার করেছিলেন। কিন্তু ওই যুবক তাকে ক্রমাগত ব্ল্যাকমেল করতে থাকে।
মৌ স্বাক্ষর আদালতে দাখিল করার
পর মুম্বই কোর্ট পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে, ২০২৪ সালের ১ আগস্ট থেকে ২০২৫ সালের ৩০ জুন
তাদের চুক্তিভিত্তিক লিভ ইন সম্পর্ক ছিল। আইনজীবী জানিয়েছেন, ৩০ বছরের তরুণীর ২০২৩ সালের ৬
অক্টোবর ওই যুবকের সঙ্গে আলাপ হয়। তিনি বিবাহ বিচ্ছিন্না ছিলেন, ওই যুবক তাকে বিয়ের
প্রস্তাব দেন। পরে তরুণী জানতে পারেন, ওই যুবক অপর এক তরুণীর সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন। শুরু হয় অশান্তি। অভিযোগকারিণীর অভিযোগ, লিভ পার্টনার তাদের ঘনিষ্ঠ
মুহূর্তের ভিডিয়ো তাকে দেখিয়ে ব্ল্যাকমেল করে, সম্পর্ক চালিয়ে যেতে জোর করে। ওই তরুণী অন্তঃস্বত্তা হয়ে পড়লে তাকে গর্ভপাত করতে পিল খেতেও জোর করে তার পার্টনার। এর পরেই ওই তরুণী জানতে পারেন, তার লিভ ইন পার্টনার আগে থেকেই বিবাহিত।
আদালতে জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর রমেশ সিরোয়া বলেন, অভিযুক্তের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হোক, সম্ভাব্য প্রমাণ পালটে দিতে পারেন।
আইনজীবী সুনীল পান্ডে জানিয়েছেন, যুবক–যুবতী ১১ মাসের জন্য লিভ ইন সম্পর্কে মৌ চুক্তি করেছিলেন। তাদের সম্পর্ক সম্মতিপূর্ণ ছিল, যা মৌ দ্বারা প্রমাণিত, তাই ধর্ষণের অভিযোগ ভিত্তিহীন।
বিচারক শায়না পাটিল উল্লেখ করেছেন যে, সম্পর্কটি প্রাথমিকভাবে সম্মতিপূর্ণ, কারণ উভয় পক্ষই প্রাপ্তবয়স্ক। ২০২৩ সালের দিকে শুরু হওয়া সম্পর্কের ভিত্তিতে তিনি এফআইআর দায়েরের দেরির কথা উল্লেখ করেছেন। মৌ চুক্তি সম্পর্কে বিচারক পাটিল বলেছেন, উপস্থাপিত নথিটি শুধুমাত্র একটি নোটারি স্ট্যাম্প সহ একটি জেরক্স কপি ছিল, এর সত্যতা নিশ্চিত করার জন্য কোনও সুনির্দিষ্ট প্রমাণ নেই। দুজনের সম্মতিতে শুরু হলেও পরে এটি অভিযোগের দিকে গেছে। অভিযোগকারীর কোনও অশ্লীল ভিডিও সম্পর্কে অভিযোগ সুনির্দিষ্ট নয়। বিচারক
পাটিল গ্রেফতারের আগেই অভিযুক্তের আগাম জামিন মঞ্জুর করেছেন।