নয়াদিল্লি, ৮ সেপ্টেম্বর: ড. ইউনূস বাংলাদেশে সরকার প্রধানের চেয়ারে বসার পর শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি। বলেছিলেন, দুই দেশ পারস্পরিক উন্নয়নের জন্য পাশাপাশি চলবে। এক মাস পেরিয়েছে ইউনূস সরকারের। এখনও মুখোমুখি সাক্ষাৎ হয়নি দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্রপ্রধানের। তবে সেই সুযোগ তৈরি হয়েছে। তা নিয়েই চলছে জল্পনা। নিউইয়র্কে নরেন্দ্র মোদি ও ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠকের সম্ভাবনা নিয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেছেন, সাধারণত নিউইয়র্কে রাষ্ট্রসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে শীর্ষ নেতাদের বৈঠক আয়োজনের একটি পদ্ধতি রয়েছে। সেই অনুযায়ী বাংলাদেশ এগোবে। রবিবার দুপুরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
চলতি মাসের শেষের দিকে সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের অন্তর্র্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মধ্যে বৈঠকের প্রস্তাব দিয়েছে ঢাকা। তবে নয়াদিল্লি এখনো এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়নি। তবে ওয়াকিফহাল মহলের মত, চলতি সপ্তাহের শুরুতে ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ড. মুহাম্মদ ইউনূস যেসব মন্তব্য করেছেন, তাতে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তার এই বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলেই মনে হচ্ছে। সাক্ষাৎকারে ড. মুহাম্মদ ইউনূস যেসব মন্তব্য করেছেন, সেগুলোকে ভালোভাবে নেয়নি নয়াদিল্লি। এছাড়া পলাতক শেখ হাসিনা এখন নয়াদিল্লিতে। তিনি ভারতের দীর্ঘদিনের বন্ধু। তার হাত ছেড়ে ইউনূসের হাত ধরতে মোদি বোধহয় একটু সময় নেবেন।
এ বিষয়ে তৌহিদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, এটা নিয়ে কিছু বলতে চাই না যে সৌজন্য সাক্ষাৎ হচ্ছে বা হচ্ছে না। বস্তুত মোদি যাচ্ছেন এটার ১০০ ভাগ নিশ্চয়তা আমরা এখন পর্যন্ত পাইনি। এ ক্ষেত্রে যে প্রক্রিয়া আছে, সেই অনুযায়ী আমরা এগোব। এটা এমন নয় যে এক মাস আগে সাধারণ নিয়ম অনুযায়ী আগাবে। তারা যদি চায় যে দেখা করবে না, আমাদের তো জোর করে দেখা করার কিছু নেই।