বিশেষ প্রতিবেদন: গাজায় ইসরাইলের বর্বর হামলা ও গণহত্যার কারণে গোটা মুসলিম দুনিয়ায় ব্যবসায় ধস নেমেছে
মার্কিন সফ্ট ড্রিঙ্কস প্রতিষ্ঠান কোকাকোলা ও পেপসিকোর। কোক-পেপসির বিপরীতে এখন স্থানীয়
ভাবে তৈরি কোমল পানীয়র দিকে ঝুঁকছেন মানুষরা। গত বছরের
৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরাইলের হামলা শুরুর পর মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোয় বয়টকের
মুখে পড়ে মার্কিন কোমল পানীয় প্রতিষ্ঠান কোকাকোলা ও পেপসিকো। বর্তমানে বহু দেশে কোক-পেপসির বাজার একেবারেই শেষ হয়ে গিয়েছে।
মূলত কোক ও পেপসি ইসরাইল ঘনিষ্ঠ
প্রতিষ্ঠান বলে পরিচিত। কোকাকোলার বিরুদ্ধে অভিযোগ, গাজায় যুদ্ধ চালাতে ইসরাইল যে অর্থ ব্যয় করছে, তার একটি অংশ বহন করছে কোম্পানিটি। যদিও এই দাবি বারবারই
অস্বীকার করেছে কোকাকোলা। কোকাকোলা থেকে আয় করা অর্থ গাজা
যুদ্ধে ব্যবহার করা হয় না– এমন বিজ্ঞাপন
বানিয়ে বাংলাদেশে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে মার্কিন প্রতিষ্ঠানটি। মাঠ ফাঁকা পেয়ে বাংলাদেশের স্থানীয়
কোম্পানিগুলি এখন ব্যবসায় দ্বিগুণ লাভ করছে। বিক্রি বেড়েছে
স্থানীয় কোমল পানীয় মোজোর। মিশরেও কোক-পোপসির চাহিদা তলানিতে। দেশটিতে এখন স্থানীয় ব্র্যান্ড
ভি–সেভেন ব্যবসা
ধরে নিয়েছে। পাকিস্তানের শীর্ষস্থানীয় ডেলিভারি অ্যাপ ক্রেভ মার্টের প্রতিষ্ঠাতা কাসিম
শ্রফ জানান, দেশে কোলা
নেক্সট ও পাকোলার মতো স্থানীয় কোমল পানীয়র বিক্রি ১২ শতাংশের মতো বেড়েছে। গোটা মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে পেপসির ব্যবসাতে
ধস নেমেছে। সব মিলিয়ে কোক–পেপসি কতটা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে তার হিসাব করা কঠিন বলে
মত বিশ্লেষকদের। মার্কেট
রিসার্চার নিলসেন আইকিউ বলেছে, মধ্যেপ্রাচ্যে
সার্বিকভাবে পশ্চিমা পানীয় ব্র্যান্ডগুলোর ব্যবসা বছরের প্রথমার্ধে ৭ শতাংশ কমেছে। গাজায় ইসরাইলের হামলার পরের ছয়
মাসে আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য
ও দক্ষিণ এশিয়ায় পেপসির বিক্রি তেমন একটা বাড়েনি। কোকা-পেপসি কেনা বন্ধ করেছেন এমন অনেক ক্রেতা বলেছেন, গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর হামলায়
যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের প্রতিবাদেই তারা এমন পদক্ষেপ নিয়েছেন। পেপসিকোর প্রধান
নির্বাহী কর্মকর্তা লাগুয়ার্তা বলেছেন, ‘কিছু ভোক্তা রাজনৈতিক ধারণার কারণে পণ্য কেনার ক্ষেত্রে
বিকল্প সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। লেবানন, পাকিস্তান ও মিশরের মতো দেশে এর প্রভাব পড়েছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে
আমরা এই সমস্যার সমাধান করে ফেলব।’