দেবশ্রী মজুমদার, লাভপুর: লাভপুরে বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গিয়ে বোট উলটে জলের স্রোতে তলিয়ে যেতে যেতে প্রাণে বেঁচে ফিরলেন জেলা শাসক, বিধায়ক, দুই সাংসদ সহ ১৩ জন৷ একজন এখনও নিখোঁজ।
গ্রামবাসীদের তৎপরতায় কোনক্রমে প্রাণে বাঁচেন বেশিরভাগ যাত্রী৷ জল থেকে উদ্ধার করা হয় তাঁদের ৷কুঁয়ে নদীর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত প্রায় ১৫ টি গ্রাম৷ বিচ্ছিন্ন গ্রামগুলিতে লাইফ বোটে করে লাইফ জ্যাকেট ছাড়াই চেপেছিলেন সকলে৷ জলের ঘুর্ণিপাকে পরে উলটে যায় বোট৷
বীরভূমের লাভপুরে বলরামপুরের কাছে কুঁয়ে নদীর বাঁধ ভেঙে যায়৷ ফলে প্রায় ১৫ টি গ্রাম প্লাবিত৷ তারমধ্যে ৬ থেকে ৭ টি গ্রামের মধ্যে যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন৷ বহু কাঁচা-পাকা বাড়ি, বিস্তীর্ণ ধান জমি জলের তলায়৷ এদিন বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে লাভপুরে যান বীরভূম জেলা শাসক বিধান রায়, রাজ্যসভার সাংসদ সামিরুল ইসলাম, বোলপুরের সাংসদ অসিত মাল, লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ সহ ১৩ জন৷ একটি বোর্টে চড়ে জলমগ্ন এলাকাগুলি পরিদর্শনে যান তাঁরা৷ কিছুটা যেতেই জলের তলায় থাকা গাছে ডালের আঘাতে বোর্ট বন্ধ হয়ে যায় মাঝ জলে৷ তারপরেই উলটে যায় বোর্ট৷ জলে পড়ে যান সকলে৷ দূর থেকে দেখতে পেয়ে জলে ঝাঁপিয়ে পড়েন গ্রামবাসীরা। গ্রামবাসীদের তৎপরতায় কোনক্রমে প্রাণে বাঁচলেন জেলা শাসক, দুই সাংসদ-বিধায়ক। জলে ভিজে তাদের পাড়ে নিয়ে আসা হয়৷ তবে বন্যা পরিদর্শনে গেলেও কারও লাইফ জ্যাকেট ছিল না৷
লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ বলেন, “মাঝ জলে গাছের ডাল লেগে যায়। সেখানে জলটা পাক খাচ্ছিল৷ সেই পাকে পড়ে বোটটা উলটে যায়৷ সবাই জলে পড়ে যায়৷ গ্রামবাসীরা ছুটে এসে বাঁচায়৷ প্রাণে বেঁচে গিয়েছি তবে। সবাই সুস্থ আছে, ভালো আছে।” অসিত মাল বলেন, আমি সাঁতার জানি। কিন্তু জলের কারেন্টে কোনো কাজ দেয় নি। তলিয়ে যাচ্ছিলাম। একটা ডাল পেয়ে সেটাকে ধরে কোনরকমে ভেসে থাকি।