বিশেষ প্রতিবেদন: ১২ রবিউল আউয়াল বিশ্বের বহু দেশে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে উদযাপিত হল প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা.র) জন্মদিন পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী। দিনটি মুসলিম উম্মাহর কাছে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) নামে পরিচিত। এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ ও আফ্রিকার বহু দেশে ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপন করেছেন সাধারণ মানুষ। মাওলিদ উপলক্ষে বহু দেশে দেখা গিয়েছে বিরাট জুলুস। মালয়েশিয়া, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভারত, তুরস্ক, সুদান, নাইজেরিয়া, মিশরসহ আরও বহু দেশে নবী রাসূল সা.র প্রশংসায় বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। নবী সা.র প্রতি অগাধ ও অকৃত্রিম ভালোবাসা প্রকাশে দিনটিতে পথে নেমে আসতে দেখা যায় লক্ষ লক্ষ মুসলিমকে। হজরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন আল্লাহর প্রেরিত সর্বশেষ নবী ও রাসূল। প্রায় দেড় হাজার বছর আগে ৫৭০ খ্রিস্টাব্দে এ দিনটিতে মানব জাতির জন্য রহমত হিসেবে মহানবী হজরত মুহম্মদ (সা.র) আবির্ভাব ঘটে। আরবের মক্কা নগরীর কুরাইশ বংশে মা আমিনার কোল আলো করে জন্ম নেন নবী সা.। সে সময় আরব ছিল অন্ধকারে নিমজ্জিত, কুসংস্কার ও পৌত্তলিকতায় জর্জরিত। এই অন্ধকার যুগ থেকে মানবজাতিকে উদ্ধার করতেই আল্লাহ তাঁকে দুনিয়াতে প্রেরণ করেন। তিনি এসেছিলেন তাওহিদের বাণী নিয়ে এবং শান্তির ধর্ম ইসলাম প্রচার করতে। তাঁর আগমন ও বাণী সারা বিশ্বে এক আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। ৬৩ বছর বয়সে একই দিনে তিনি ইন্তেকালও করেন। হযরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন এক আদর্শ চরিত্রের অধিকারী। তাঁর জীবন ছিল কুরআনের জীবন্ত ব্যাখ্যা। সততা, ন্যায়পরায়ণতা, দয়া, ক্ষমা, সহনশীলতা – সব মানবিক গুণের সর্বোচ্চ বিকাশ ঘটেছিল তাঁর মাঝে। তিনি ছিলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানব। তাঁর জীবন ও বাণী আজও সমগ্র মানবজাতির জন্য অনুকরণীয়।