দেশের ১৭টি রাজ্যে বৃষ্টির সতর্কতা জারি
পটনা/লখনউ-২৪ সেপ্টেম্বরঃ অবিরাম বৃষ্টিতে বানভাসী বিহার ও উত্তরপ্রদেশ। বিহারে বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে গঙ্গানদীর জল। রাজ্যের জেলা বিভাগ জানিয়েছে, প্রায় ১২টি জেলার ১৩.৫ লক্ষ মানুষ ক্ষতির মুখে। ৩৭৬টি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রভাবিত হয়েছে, মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ১২টি ক্ষতিগ্রস্ত জেলা হল পটনা, ভাগলপুর, বক্সার, ভোজপুর, সরণ, বৈশালী, সমষ্টিপুর, বেগুসরাই, লক্ষীসরাই, কাটিহার, খাগরিয়া এবং মুঙ্গের। সোমবার বিহারের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব প্রত্যয় অমৃত ১২টি জেলার অবস্থা নিয়ে একটি রিভিউ বৈঠক করেন। বন্যা পরিস্থিতির উপর নজর রেখেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার। মামলাখা জেলার ১০টি বাড়ি সম্পূর্ণ ধূলিসাৎ হয়ে গেছে। সোশ্যাল মিডিয়াতে পাওয়া এক ভিডিয়োতে দেখা গেছে, একটি দোতলা বাড়ি তাসের ঘরের মতো হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে, কিছুক্ষণ জলের ওপরে ভেসে থাকার পরে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই ডুবে গেল।
অন্যদিকে বানভাসী উত্তরপ্রদেশ। ২১ জেলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। কানপুরে পাণ্ডু নদীর জলে প্লাবিত ১৩টি গ্রাম। প্রায় ১৫ হাজার মানুষ ক্ষতির মুখে। ফসলের ক্ষতি হয়েছে। আগামী পাঁচদিন পরিস্থিতির কোনও হেরফের হবে না বলে জানিয়েছে মৌসম বিভাগ। রাজ্যের ২২ টি জেলায় ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে অবিরাম বৃষ্টিতে বন্যার চেহারা নিয়েছে বিহার। অস্বাভাবিক হারে জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। বন্যাকবলিত জেলায় বন্ধ থাকা ৬০০ টিরও বেশি সরকারি স্কুল বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বন্যার কারণে তিলকা মাঞ্জি ভাগলপুর বিশ্ববিদ্যালয়, ভাগলপুরের সবুরের বিহার কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং মুঙ্গেরের মুঙ্গের বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
দেশের ১৭টি রাজ্যে বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে মৌসম ভবন। ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে মহারাষ্ট্র, কর্নাটক এবং গোয়ায়। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে কেরল, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলঙ্গানা, গুজরাত, ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ, অসম, মেঘালয়, ওড়িশা, অরুণাচল প্রদেশ, নাগাল্যান্ড, মণিপুর, মিজোরাম এবং ত্রিপুরায়।