উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়,জয়নগর : শেষ পর্যন্ত বারুইপুর থানার চম্পাহাটির হারালে তৈরি হতে চলেছে দমকল কেন্দ্র, মিটতে চলেছে দীর্ঘদিনের সমস্যা।বাজির কথা মাথায় এলে প্রথমে নাম চলে আসে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার চম্পাহাটি। বারুইপুরের হাড়াল অঞ্চল বাজি বাজারের জন্য বিখ্যাত। এই বাজারে আগুন লাগলে আট কিমি দূরের ফুলতলা থেকে দমকল পৌঁছতে পৌঁছতে সব পুড়ে যেত। হাড়ালে দমকল কেন্দ্র তৈরির দাবি দীর্ঘদিনের।
বাজি ব্যবসায়ীদের দাবি শুনে উদ্যোগ নিয়েছিলেন বারুইপুর পূর্বের বিধায়ক বিভাস সরদার। জমি চিহ্নিত হয়ে গিয়েছিল। কাজ শুরুর আগে পরিদর্শন করলেন দমকলের আধিকারিকরা। দলে ছিলেন পূর্ত, বিদ্যুৎদপ্তরের আধিকারিকরা ও বিধায়ক। দমকলের এক আধিকারিক বলেন, সয়েল টেস্ট এর পর এক বিঘা জমির উপর এর ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হবে। এর পাশাপাশি বিষ্ণুপুরের আমতলাতেও দমকলকেন্দ্র নির্মাণের তোড়জোড় শুরু হয়েছে।
বিধায়ক বিভাস সরদার বলেন, ‘দ্রুত কাজ শুরু করার কথা বলা হয়েছে। এই কেন্দ্র হলে বাজি শিল্পের সঙ্গে জড়িত মানুষের উপকার হবে।’ দমকল কেন্দ্রের জন্য জায়গা ঠিক হয়েছে দক্ষিণ হাড়াল এলাকায়। বাজি ব্যবসায়ীরা বলেন, অগ্নিকান্ড ঘটলে দমকল আসার আগে আমাদেরই নেভানোর কাজ করতে হয়। পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যায় না। এবার সহজেই ইঞ্জিন পৌঁছতে পারবে। জল মিলবে খাল থেকে। প্রসঙ্গত, কাটাখাল- উত্তরভাগ বাইপাস এলাকায় বাজি হাবের কাজও চলছে। ফলে মিটতে চলেছে সমস্যা।আর পুজোর আগে এই খবরে খুশি বাজি কারিগর সহ সাধারণ মানুষ।