ইমামা খাতুন: মহান রাব্বুল আলামীন পথহারা মানবকুলকে দিশা দেখাতে যুগে যুগে বহু নবী ও রাসূল প্রেরণ করেছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় প্রেরণ করেছিলেন নবী হযরত মুহাম্মদ সা.কে। ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দে হিজরির ১২ রবিউল আউয়াল তারিখে অন্ধকারে নিমজ্জিত মক্কার বুকে আলো জ্বালিয়ে আম্মাজান আমিনার কোলজুড়ে পৃথিবীতে আসেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ ও সর্বশেষ নবী।
প্রতিবছরই নবীর সানে পুবের কলম ও একটি কুসুমের যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠান হয়। এই বছরও ব্যতিক্রম নয়। শনিবার আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্ক সার্কাস ক্যাম্পাসের অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় ‘রাসূল সা.-এর জীবন ও শিক্ষা নিয়ে আলোচনাচক্র। বহু বিশিষ্টজনের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানটি ভিন্ন রূপ ধারণ করে। তবে সোনারপুরের ছোট্ট সিফা রহমানের বক্তব্য ছিল নজরকাড়া।
নবী সা. কে নিয়ে ভালোবাসার গভীরতা ফুটে ওঠে খুদের বক্তব্যে। উপস্থিত সকলের মন জয় করে নেয় সিফা। ছোট্ট সিফার নবী প্রেমে মুগ্ধ হয়ে যায় সকলেই। তার বাবার ভাষ্যে, ছোট্ট সিফা ছোটবেলা থেকেই নবী সা.-কে নিয়ে চর্চা করে। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে প্রথম স্থান অধিকারও করেছে সে।
একদিন কাগজে পড়ে ‘পুবের কলম’ এবারও নবী দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠান করছে, সেই থেকে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিল খুদে সিফা রহমান। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার জন্য ১৫ দিন ধরে অনুশীলন করছিল সে।
সিফার বাবা আরও জানান, আমরা সোনারপুরের ছোট্ট একটি গ্রামের অনেক ভিতরে থাকি। কলম পত্রিকা ঠিক মতো পৌঁছায় না। কিন্তু আমার মেয়ের জন্যই আমি শহরে গিয়ে কলম কিনে আনি। ও পুবের কলমের ‘ধর্ম বিষয়ক’ সকল আর্টিকেল পড়ে। আমাকে নানান প্রশ্ন করে। সিফাকে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানান তিনি।