নয়াদিল্লি, ২০ সেপ্টেম্বর: শনিবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন অতিশি। তিনি দিল্লির তৃতীয় নারী মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন। এর আগে কংগ্রেসের শীলা দীক্ষিত ও বিজেপির সুষমা স্বরাজ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে অতিশির নাম প্রস্তাব করেছিলেন সদ্য পদত্যাগ করা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। শীলা দীক্ষিত সবচেয়ে দীর্ঘ সময় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। ১৯৯৮ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত টানা ১৫ বছর এই পদে ছিলেন তিনি। অপর দিকে বিজেপি-সমর্থিত সুষমা স্বরাজ ১৯৯৮ সালে মাত্র ৫২ দিন মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
পরবর্তীকালে জাতীয় রাজনীতিতে যোগ দেওয়া সুষমা কেন্দ্রের বিদেশমন্ত্রী হয়েছিলেন। দীর্ঘদিন তিহাড় জেলে বন্দি থাকার সময়েও মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়েননি কেজরিওয়াল। কিন্তু গত রবিবার আম আদমি পার্টির বৈঠকে আচমকাই ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি। কেজরিওয়াল বলেন, জনতা তাদের রায় ঘোষণা না-করা পর্যন্ত আমি ওই কুর্সিতে বসব না। তিনি নভেম্বরে নির্বাচনের দাবি জানান। ওয়াকিফহাল মহলের মত, কেজরিওয়াল জানেন, সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিন পাওয়ার পর তার প্রতি সহানুভূতি রয়েছে মানুষের। তবে তা ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ধরে রাখা কঠিন। তাকে গ্রেফতার ও তদন্তের নামে ইডি, সিবিআই যা করেছে, সুপ্রিম কোর্ট তার তীব্র সমালোচনা করেছে। সেই মন্তব্য তার প্রচারের কাজে আসবে। তাই তিনি অতিশির অভিষেক ঘটাচ্ছেন।
বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর অতিশি ভারতের দ্বিতীয় নারী মুখ্যমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন। শীলা দীক্ষিত যখন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হন, তখন তার বয়স ছিল ৬০ বছর। সে তুলনায় সুষমা স্বরাজ বেশ কম বয়সেই মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার সময় তার বয়স ছিল ৪৬ বছর। অরবিন্দ কেজরিওয়ালসহ অন্য নেতারা কারাগারে থাকাকালে অতিশি দল টিকিয়ে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এ সময় দলের অন্য নেতাদের নিয়ে সাংগঠনিক কাজ পরিচালনা করেন তিনি। প্রসঙ্গত, দেশের ইতিহাসে উল্লেখযোগ্য নারী মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে রয়েছেন জম্মু-কাশ্মীরের মেহবুবা মুফতি, উত্তরপ্রদেশের মায়াবতী, বিহারের রাবড়ি দেবী এবং তামিলনাডুর জয়ললিতা, অসমের সৈয়দা আনোয়ারা তৈমুর।