পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ‘দিদি আমাকে ভালোবাসেন‘, বোলপুরে ফিরে এসেই বললেন
বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা অনুব্রত মণ্ডল। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি
বলেন, আদালতকে সম্মান করি, আদালতের রায় মেনে চলি।
আজ অনুব্রত ফেরার অপেক্ষায় সেজে উঠেছে বীরভূম। অকালহোলিতে মেতে উঠেছে গোটা
জেলা। প্রিয় নেতাকে একবার দেখার অপেক্ষায় রাস্তার দু-ধারে সারি সারি মানুষের ভিড়।
প্রায় দীর্ঘ আড়াই বছর পর বোলপুরে নিজের ডেরায় ফিরে আবেগে ভাসলেন অনুব্রত মণ্ডল
ওরফে দিদির প্রিয় কেষ্ট। ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয় তাঁকে। অনুব্রত সকলের উদ্দেশে
আগাম শারদ শুভেচ্ছা জানান। কার্যত চারদিকে কড়া নিরাপত্তার
ঘেরাটোপ।
দীর্ঘ সময়ের অপেক্ষা। অবশেষে পুজোর ঠিক আগেই তিহাড় জেলে এল খুশির খবর। গরু
পাচার মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পর শর্তসাপেক্ষে জামিন পেয়ে আজ বীরভূমের বোলপুরে
ফিরলেন বীরভূমের বাদশা, দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা অনুব্রত মণ্ডল। বোলপুরের মাটিতে পা
রাখতে আবেগে ভাসলেন কেষ্ট। বাবার সঙ্গেই রয়েছেন মেয়ে সুকন্যা। চেনা বৃত্তের মধ্যে
এসে কেঁদে ফেললেন তিনি। এতদিন পর বাবা-মেয়ে একসঙ্গে, আবেগে ভাসলেন সুকন্যাও। নিজের
অনুগামীদের সঙ্গে দেখা করলেন কেষ্ট। নেতা ফেরার খুশিতেই আজ গুড় বাতাসা বিলি করলেন
তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। অনুব্রত জামিনের খুশির খবরে আগে বীরভূম আনন্দ ভাসছিল। মিষ্টি
বিতরণ করতে দেখা যায় তৃণমূল নেতা কাজল শেখকেও।
এতদিন অনুব্রত ছাড়া বীরভূম আজ ফের চেনা ছন্দে। তার অনুপস্থিতিতে বীরভূমে দাপট বেড়েছে অন্যান্য অনেক নেতারই। তবে অনুব্রত যে অনুব্রতই, এলাকায় ফিরেই তা প্রমাণ করে দিয়েছেন তিনি। কলকাতা থেকে বীরভূম যাওয়ার সময় পথের ধারে বহু মানুষ অনুব্রতর সঙ্গে দেখা করেন। বীরভূমে তাঁকে পুষ্পবৃষ্টিতে
স্বাগত জানানো হয়। বীরের মতো বরণ করে নেওয়া হল তাঁকে। বাড়িতে পৌঁছেই নিচের ঘরের চেয়ারে বসেন অনুব্রত। একে একে বোলপুরের বহু নেতা–কর্মী তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসেন। বাবার পাশেই ছিলেন সুকন্যাও। তবে শরীর ভেঙ্গেছে অনুব্রত মণ্ডলের। বাড়ি
ফিরে সামান্য হালকা খাবার পেয়েছেন তিনি।