রাঁচি, ২২ আগস্টঃ নিখোঁজ হওয়া উড়ানের ট্রেনি পাইলট সহ তার প্রশিক্ষকের দেহ মিললো। দুই আসন বিশিষ্ট বিমানটি ঝাড়খণ্ডের জামশেদপুর থেকে উড়েছিল মঙ্গলবার। তার পর বিমানটির আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। ওই বিমানে ছিলেন একজন ট্রেনি পাইলট সহ আরও একজন প্রশিক্ষক। দুইজনের দেহ চান্দলি বাঁধের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। মঙ্গলবার সকালে সোনারি এয়ারোড্রোম থেকে ওড়ার পর সেসনা-১৫২ নামের ট্রেনার বিমানটি নিখোঁজ হয় যায়। তড়িঘড়ি উদ্ধার কাজ শুরু হয়। এর পরে, বাঁধের জলাধার সহ আশেপাশের এলাকায় উদ্ধারকাজ চালানো হয়।
এদিন সকালে ট্রেনি পাইলট শুভ্রদীপ দত্ত’ র দেহ উদ্ধার হয়। শুভ্রদীপ আদিত্যপুরের বাসিন্দা ছিলেন। ঘটনার পরের দিন পাইলট-ইন-কমান্ড ক্যাপ্টেন জিৎ শত্রু আনন্দের দেহ উদ্ধার হয়। ক্যাপ্টেন জিৎ শত্রু পটনার বাসিন্দা ছিলেন। বিমানটি উদ্ধারে বিশাখাপত্তনম থেকে ১৯ জনের একটি নৌবাহিনীর দল আনা হয়।
তবে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার জন্য উদ্ধারকাজ ব্যাহত হয়। জানা গেছে, বিমানটি মঙ্গলবার সকালে তার যাত্রা শুরু করে। ৪ ঘণ্টা ৩০ মিনিট ওড়ার জন্য ৮০ লিটার জ্বালানি ছিল। বিমানটির একঘণ্টার মধ্যে ফিরে আসার কথা ছিল। বেলা ১১.১০ নাগাদ শেষ যোগাযোগ করেছিল জামশেদপুর এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল টাওয়ারের সঙ্গে। ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল এভিয়েশন (ডিজিসিএ), এয়ারক্রাফ্ট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (এএআইবি), ডিরেক্টরেট অফ ফ্লাইং ট্রেনিং (ডিএফটি) এবং ডিরেক্টরেট অফ এয়ারওয়ার্থিনেস (ডিএডব্লিউ) একযোগে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।