কলকাতাThursday, 3 October 2024
  1. আজকের শিরোনাম
  2. ইতিহাস-ঐতিহ্য
  3. ক্রাইম
  4. খেলা
  5. জেলা
  6. দেশ
  7. ধর্ম ও দর্শন
  8. পর্যটন
  9. ফোটো গ্যালারি
  10. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  11. বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
  12. বিনোদন
  13. বিশ্ব-জাহান
  14. ব্লগ
  15. ভ্রমণ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

'ছোট থেকেই ছেলেকে শেখান মেয়েদের সম্মান করতে', বদলাপুর মামলায় পরামর্শ বম্বে হাইকোর্টের

mtik
October 3, 2024 6:31 pm
Link Copied!

মুম্বই, ২৭ আগস্ট: ‘ছোট থেকেই একটি ছেলেকে শেখান মেয়েদের সম্মান করতে’, মহারাষ্ট্রের বদলাপুরে দুই স্কুলছাত্রীকে যৌন হেনস্থার মামলায় এইভাবেই সাধারণ মানুষকে পরামর্শ দিল বম্বে হাইকোর্ট। সম্প্রতি বদলাপুরের একটি স্কুলে দুই নাবালক পড়ুয়াকে যৌন হেনস্থা করে স্কুলের এক সাফাইকর্মী। এই ঘটনাকে ঘিরে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। দোষীদের শাস্তির দাবিতে প্রতিবাদ হিংসাত্মক রূপ নেয়। রেল অবরোধ করা হয়। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-বৃষ্টি চলে। এই ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করে শুনানি করেছে আদালত।

বিচারপতি রেবতী মোহিতে দেরে ও বিচারপতি পৃথীরাজ চৌহানের ডিভিশন বেঞ্চ বলে, প্রতিটি বাড়ির ছেলের শেখানো উচিত মেয়েদের সম্মান করতে। ছোট বয়স থেকেই তাদের সেই সহবৎ শেখাতে হবে। মানসিকতার পরিবর্তন প্রয়োজন। আদালত তার পর্যবেক্ষণে বলে, যতক্ষণ না শিশুদের সমতা সম্পর্কে শেখানো হবে ততক্ষণ কিছুই পরিবর্তন হবে না। বজায় থাকবে পুরুষে উশৃঙ্খলতা। ডিভিশন বেঞ্চ বলে, পুরুষ আধিপত্য ও পুরুষতান্ত্রিকতা এখনো সমাজে বজায় আছে। যতক্ষণ না আমরা আমাদের সন্তানদের বাড়িতে সমতার শিক্ষা দিতে পারব, ততক্ষণ কিছুই হবে না। নির্ভয়ার মতো এই সমস্ত আইন, এই সব ক্ষেত্রে কাজ করবে না। আমরা সবসময়ই মেয়েদের সহবত শেখানোর কথা বলি। কেন আমরা ছেলেদের বলি না কোনটা সঠিক আর কোনটা ভুল? আমাদের ছেলেদের মানসিকতা বদলাতে হবে। 


বদলাপুর মামলায় আদালত একজন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ, অবসরপ্রাপ্ত বিচারক, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ এবং শিশু কল্যাণ কমিটির সদস্যদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠনের পরামর্শ দিয়েছেন। সেইসঙ্গে হাইকোর্ট জানিয়েছে, আমরা একটি সমন্বিত কমিটি চাই যা স্কুলগুলিতে কীভাবে এই আইনগুলি প্রয়োগ করা যায়, সে বিষয়ে সুপারিশ করবে। সেইসঙ্গে বম্বে হাইকোর্ট প্রশ্ন তোলে, ওই সাফাইকর্মীকে স্কুলে নিয়োগ দেওয়ার আগে কি তার ব্যাকগ্রাউন্ড দেখা হয়েছিল? কেনো ছাত্রীদের জন্য একজন পুরুষ পরিচারক নিয়োগ করা হয়েছিল?


মহারাষ্ট্রের অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি) বলেছেন, ব্যাকগ্রাউন্ড চেক করা হয়নি। অভিযুক্তের বাবা-মা এবং খুড়তুতো ভাই একই স্কুলে কাজ করে এবং তাই তাকেও নেওয়া হয়েছিল। আদালত পুলিশকে তিরস্কার করে বলে, নির্যাতিতাদের থানায় ডেকে বয়ান নেওয়ার চেষ্টা করেছিল পুলিশ। এটি আইন বিরুদ্ধ কাজ। নির্যাতিতা এবং তার বাবা-মাকে থানায় বিবৃতি রেকর্ডের জন্য আসতে বলাও আইনের পরিপন্থী। এক পুরুষ চিকিৎসক নির্যাতিতাদের ডাক্তারি পরীক্ষা করা নিয়েও বিরক্তি প্রকাশ করেছে আদালত।