পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: তিরুপতি মন্দিরের প্রসাদী লাড্ডু বিতর্কে এ বার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি পাঠালেন অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওয়াইএস জগন্মোহন রেড্ডি। প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠিতেও জগন লিখেছেন তিরুপতির প্রসাদী লাড্ডু নিয়ে যে অভিযোগ উঠেছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ।এই ধরনের ‘ভিত্তিহীন অভিযোগ’-এর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার জন্য মোদিকে অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
তিরুপতি মন্দিরের পবিত্র প্রসাদী লাড্ডুতে শুয়োর এবং গোরুর চর্বি মিশ্রণের খবরে তোলপাড় দেশ। রাজনীতিবিদদের পাশপাশি এ বার এই নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন সদগুরু জাগ্গি বাসু এবং শ্রী শ্রী রবি শংকরের মত হিন্দু আধ্যাত্মিক গুরুরা। তাদের দাবি ‘সরকার নয়, মন্দির পরিচালনা করুক ভক্তরা।’
‘ইশা ফাউন্ডেশন’-এর প্রতিষ্ঠাতা সদগুরু এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, ‘শুয়োরের চর্বি মিশ্রিত প্রসাদী লাড্ডু খেয়েছেন ভক্তরা, এটা ভাবনার বাইরে। আমি অত্যন্ত বিরক্ত। এই কারণেই আমি মনে করি মন্দিরগুলি ভক্তদের দ্বারা পরিচালিত হওয়া উচিত, সরকার দ্বারা নয়। যেখানে ভক্তির লেশ মাত্র নেই, সেখানে পবিত্রতা রক্ষা হয় না। সময় এসেছে, এ বার হিন্দু মন্দিরগুলি হিন্দুদের দ্বারাই পরিচালিত হওয়া আবশ্যক। কোনও প্রশাসন মারফত নয়।’
অন্যদিকে, ‘দ্য আর্ট অফ লিভিং’-এর প্রতিষ্ঠাতা রবি শঙ্কর বলেন, ‘হিন্দুদের ধর্মীয় ভাবাবেগে গভীরভাবে আঘাত করা হয়েছে। এ জিনিস ক্ষমা করা যায় না। যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদের লোভ কতদূর পৌঁছতে পারে তা বোঝা যাচ্ছে। অপরাধীদের কঠোর শাস্তি দেওয়া উচিত। তাদের সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা উচিত। সকলকে জেলে পাঠানো উচিত। পরোক্ষভাবেও কেউ যদি জড়িত থাকে তাহলেও শাস্তি দেওয়া উচিত।’ রবি শঙ্করের দাবি, কেবলমাত্র লাড্ডু নয় সমস্ত খাদ্য উপাদানগুলিও পরীক্ষা করে দেখা হোক।
মোদির জোটনির্ভর সরকারে এখন অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শরিক চন্দ্রবাবু। লোকসভা ভোটের পর বিহারের নীতীশ এবং অন্ধ্রের চন্দ্রবাবুর উপর অনেকটাই নির্ভরশীল এনডিএ জোট। এই অবস্থায় চন্দ্রবাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে মোদিকে চিঠি পাঠালেন ‘ইন্ডিয়া’ শিবিরের জগন। ওই চিঠিতে ওয়াইএসআর কংগ্রেসের প্রধান লিখেছেন, ‘চন্দ্রবাবু সর্বক্ষণ মিথ্যা বলেন। মিথ্যা বলা তাঁর অভ্যাস। এখন তিনি এতটাই নীচে নেমে গিয়েছেন যে নিজের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য পূরণের জন্য কোটি কোটি মানুষের ভাবাবেগে আঘাত করেছেন। এমন নির্লজ্জ ভাবে মিথ্যা কথা ছড়ানোর জন্য চন্দ্রবাবুর বিরুদ্ধে কঠোরতর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত এবং সত্যিটা প্রকাশ্যে আনা উচিত।’