পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: তিরুপতি মন্দিরের
লাড্ডু তৈরি নিয়ে বিতর্ক। পরিস্থিতি উত্তপ্ত অন্ধ্রপ্রদেশে। একাধিক জায়গায় অশান্তি
ছড়িয়ে পড়েছে। অভিযোগ, তিরুপতি মন্দিরে লাড্ডু তৈরিতে পশুর চর্বি
ব্যবহার করা হয়েছিল ওয়াইএসআর কংগ্রেস পরিচালিত পূর্ববর্তী সরকারের আমলে! বিগত
কয়েকদিন ধরেই অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডুর আনা এই অভিযোগ ঘিরে
ইতিমধ্যেই শোরগোল তৈরি হয়েছে। এবার এ বিষয়ে সামনে এল সরকারি রিপোর্টও।
ন্যাশনাল ডেইরি ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের সেন্টার অফ
অ্যানালাইসিস অ্যান্ড লার্নিং ইন লাইভস্টক অ্যান্ড ফুড এর জুলাইয়ের একটি
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তিরুপতির লাড্ডু
তৈরিতে ব্যবহৃত ঘিতে মাছের তেল, গরুর চর্বির নমুনা পাওয়া গিয়েছে। এমনকী শূকরের চর্বিও
মিলেছে। চন্দ্রবাবুর অভিযোগ উড়িয়ে তাঁর বিরুদ্ধে তিরুমালা মন্দিরের পবিত্রতা নষ্ট
করার অভিযোগ এনেছিলেন সিনিয়র ওয়াইএসআর কংগ্রেস নেতা এবং রাজ্যসভার সাংসদ ওয়াইভি
সুব্বা রেড্ডি। যদিও নাইডুর অভিযোগকেই মান্যতা দিয়েছে সরকারি ল্যাবের রিপোর্ট। ফলে
তিরুপতির লাড্ডু ঘিরে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।
গতকাল, বুধবার
এনডিএ বিধায়ক দলের বৈঠকে ভাষণ দিচ্ছিলেন নাইডু। সেখানেই এই দাবি করেন তিনি। তিনি
তেলুগু ভাষায় বলেন, ‘গত পাঁচ বছরে
ধরে ওয়াইএসআর কংগ্রেস পার্টির নেতারা তিরুমালার পবিত্রতাকে কলঙ্কিত করেছে। তারা ‘অন্নদানম‘ (বিনামূল্যে
খাবার) প্রকল্প করতে গিয়ে খাবারের মানের সঙ্গে আপস করেছে। এমনকি ঘির পরিবর্তে পশুর
চর্বিও ব্যবহার করেছে পবিত্র তিরুমালার লাড্ডু বানানোর সময়ে। যাইহোক, আমরা
এখন খাঁটি ঘি ব্যবহার করছি, আমরা মন্দিরের
পবিত্রতা রক্ষা করার চেষ্টা করছি।‘
গোটা বিষয়ের ওপর নজর রাখছে চন্দ্র বাবু নাইডু। রাজ্যবাসীকে
শান্ত থাকার আবেদন জানিয়েছেন তিনি।উত্তেজনা যাতে না ছড়িয়ে পড়ে তার জন্য
প্রশাসনিক এবং পুলিশি তৎপরতা বৃদ্ধি করা হয়েছে সর্বত্র।
তিরুপতিতে প্রতিদিন আনুমানিক তিন লাখ লাড্ডু তৈরি হয়।
এইগুলি করার জন্য মন্দির ট্রাস্ট প্রতি ছয় মাসে জারি করা ই-টেন্ডারের মাধ্যমে
প্রচুর পরিমাণে ঘি কিনে থাকে।