লখনই, ২৫ নভেম্বরঃ গন্তব্যে যেতে রাস্তা অজানা হলে অনেকেই গুগল ম্যাপের সাহায্য নিয়ে থাকে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সঠিক গন্তব্যে পৌঁছে দেয় এই ম্যাপ৷ তবে এবার সেই ম্যাপের দেখানো পথে যেতে গিয়েই ঘটল বিপত্তি৷ জিপিএসে ভরসাই যে মারাত্মক বিপদ ডেকে আনতে পারে তা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি কেউ। গুগল ম্যাপের নির্দেশনা মতো গাড়ি নিয়ে উঠেছিলেন ফাঁকা ফ্লাইওভারে। শোঁ শোঁ করে ছুটছিল গাড়ি। হঠাৎ দেখলেন, সামনে সেতু নেই? ততক্ষণে ব্রেক কষেও আর লাভ হয়নি। জিপিএস ভুল নেভিগেশনে ৫০ ফুট উচ্চতা থেকে রামগঙ্গা নদীতে পড়ে যায় গাড়ি। উত্তরপ্রদেশের বরৈলির রামগঙ্গা নদীর এই ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতরা হলেন কৌশল, বিবেক ও অমিত।
Read More: ৫ টাকা অতিরিক্ত দামে ১ লক্ষের জরিমানা রেলের
জানা গিয়েছে, গাড়ির যাত্রীরা গুরুগ্রামের বাসিন্দা। বরৈলিতে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসছিলেন তাঁরা। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে সকাল ১০ টার দিকে। বদাউন জেলার বেরেলি থেকে দাতাগঞ্জের দিকে যাচ্ছিল গাড়িটি। চালক গুগল ম্যাপের পথ নির্দেশিকা দেখে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি জানতেন না ব্রিজটি ভাঙা ছিল। জিপিএসে পথ নির্দেশিকা দেখে ব্রিজের ওপর উঠে পড়েছিলেন। তার ওপর ঘন কুয়াশা থাকায় দৃশ্যমানতা কম ছিল। পুলিশ জানিয়েছে, জিপিএস দেখে খালপুর-ডাটাগঞ্জ সড়ক ধরেছিলেন তারা। পথে ছিল ওই সেতু। সেতুর ভাঙা অংশে ধাক্কা খেয়ে গাড়িটি নদীতে পড়ে যায়। চলতি বছর বন্যার সময় সেতুর সামনের অংশ ভেঙে নদীতে তলিয়ে গিয়েছিলো। শুষ্ক মৌসুমে আবারও সেতুর নির্মাণ শুরু হয়। যদিও জিপিএসে তা আপডেট করা ছিল না। সে কারণে সেতুটি যে সুরক্ষিত নয়, তা বুঝতে পারেননি চালক। সরাসরি নদীর শুষ্ক তলদেশে পড়ে যায় গাড়িটি। রবিবার সকালে গাড়িসহ নিহতদের সেখানে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন। তড়িঘড়ি উদ্ধার করার চেষ্টা করলেও, গাড়ির দরজা খুলে দেখেন, ভেতরে থাকা তিন যাত্রীরই মৃত্যু হয়েছে। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। মৃতদেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। গাড়িটিও উদ্ধার করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, সেতুতে গাড়ি চালকদের সতর্ক করে কোনো বোর্ড লাগানো ছিল না। সে কারণে এই দুর্ঘটনা হয়েছে।