পুবের কলম প্রতিবেদকঃ পুজোর
আগে শিক্ষক নিয়োগে কাটল
আইনি জট। কলকাতা হাইকোর্টের রায়ই বহাল রাখল সুপ্রিমকোর্ট। ফলে উচ্চ প্রাথমিকে ১৪
হাজারেরও বেশি শূন্যপদে নিয়োগের ক্ষেত্রে বাধা রইল না এসএসসি-র। মঙ্গলবার প্রধান
বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং
বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ জানিয়েছে, এখনই হাইকোর্টের নির্দেশে হস্তক্ষেপ করছে না শীর্ষ আদালত।
এর
আগে উচ্চ প্রাথমিক নিয়োগ মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, ১৪
হাজারের বেশি শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে রাজ্যকে। ওই নির্দেশ সংরক্ষণ নীতির
বিরোধী, এই
দাবি তুলে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন কয়েক জন চাকরিপ্রার্থী। তার ফলে ১৪ হাজার
চাকরিপ্রার্থীর নিয়োগ নিয়ে ফের জট তৈরি হয়।
২০১৫
সাল থেকে উচ্চ প্রাথমিক নিয়োগ নিয়ে জটিলতায় আটকে রয়েছেন চাকরি প্রার্থীরা। ২০২০ সালে নিয়োগ প্রক্রিয়াটি বাতিল করে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট।
ফের ২০২৩ সালে প্যানেল প্রকাশ করার অনুমতি দিয়েছিল উচ্চ আদালত। তবে স্পষ্ট করে
দেওয়া হয়েছিল, এসএসসি কাউকে নিয়োগের সুপারিশ করতে পারবে না। কলকাতা হাইকোর্টের
বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ
২৮ আগস্ট নির্দেশ দিয়েছিল, ৪ সপ্তাহের মধ্যে প্যানেল প্রকাশ এবং তারপরের ৪
সপ্তাহের মধ্যে নিয়োগপত্র দিতে হবে। আদালতের
ওই রায়ের ফলে নিয়োগ শুরু করেছিল এসএসসি। কিন্তু এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিলেন
মেধা তালিকায় নাম না–থাকা প্রার্থীরা। কিন্তু তাদের আবেদন সর্বোচ্চ আদালতে গ্রাহ্য হলো না। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের
প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছে, নতুনদের আবেদন শোনা হবে না। মামলাকারীদের
বক্তব্য শুনবে হাইকোর্ট। উচ্চ
প্রাথমিকে নিয়োগে হস্তক্ষেপ করা হবে না বলেও স্পষ্ট করে দেয় সর্বোচ্চ আদালত। স্বাভাবিকভাবেই সুপ্রিম নির্দেশে খুশি মেধা তালিকায় নাম থাকা চাকরিপ্রার্থীরা।
এদিকে সোমবারই উচ্চ প্রাথমিকের ২০১৬
সালের মেধাতালিকা প্রকাশের বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে এসএসসি। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আগামী বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর প্রকাশ করা হবে মেধাতালিকা। ১০ শতাংশ আসন
সংরক্ষিত রাখা হবে অস্থায়ী শিক্ষকের জন্য। বাকি পদে নিয়োগের মেধাতালিকা প্রকাশ করা
হবে।