পুবের কলম প্রতিবেদক: বসিরহাটের সাংসদ হাজী নুরুল ইসলামে
ইন্তেকালে শোকজ্ঞাপন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ পুবের কলম প্রত্রিকার
সম্পাদক আহমদ হাসান ইমরান। মুখ্যমন্ত্রী এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘আমার শ্রদ্ধেয় সহকর্মী, বসিরহাটের সাংসদ হাজী এসকে-এর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ। তিনি একটি প্রত্যন্ত সুন্দরবন এলাকার একজন নিবেদিতপ্রাণ
সমাজসেবক ছিলেন এবং তিনি একটি অনগ্রসর অঞ্চলের দরিদ্র মানুষের উন্নতির জন্য কঠোর পরিশ্রম
করেছিলেন। বসিরহাটের মানুষ তাঁকে সর্বদা মনে রাখবে। আমি তার পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং
সহকর্মীদের প্রতি সমবেদনা জানাই।’
সাংসদ হাজী নুরুল ইসলামের ইন্তেকালে শোকজ্ঞাপন করেছেন সাবেক
সাংসদ, পুবের কলম প্রত্রিকার সম্পাদক, পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু কমিশনের চেয়ারম্যান আহমদ
হাসান ইমরান। ইমরান বলেন, সাংসদ হাজী নুরুল ইসলামের ইন্তেকালে আমি শোকস্তব্ধ।
শোকজ্ঞাপন করে ট্যুইট করেছেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেক বলেন, ‘বসিরহাটের আমাদের লোকসভা সাংসদ হাজি এসকের মৃত্যুর
কথা শুনে আমি গভীরভাবে শোকস্তব্ধ। তিনি মা, মাটি, মানুষ দর্শনের একজন সত্যিকারের পদ
প্রদর্শক ছিলেন, এমনকি তাঁর শেষ দিনগুলিতেও মানুষের সেবা এবং তাদের মঙ্গল রক্ষার জন্য
তাঁর জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। তার পরিবারের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা জানাই এবং আমি
তার আত্মার শান্তি কামনা করি।’
শোকজ্ঞাপন করলেন প্রাক্তন আইপিএস আধিকারিক, বিধায়ক হুমায়ন কবির। প্রাক্তন আইপিএস বলেন, ‘খুব
দুঃখের খবর। তার পরিবার এবং বন্ধুদের প্রতি আমার সমবেদনা। মহান আল্লাহ
তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত দান করুন।’
বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী তাঁর
শোকবার্তায় জানিয়েছেন, বসিরহাটের সাংসদ তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা হাজী শেখ নুরুল
ইসলামের জীবনাবসানে আমি গভীর শোকাহত ৷ (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন)। তাঁর জন্ম ১৯৬৪ সালে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার
বারাসতের অন্তর্গত ছোট জাগুলিয়ার বাহেড়ায়। তিনি হাড়োয়া বিধানসভার প্রাক্তন বিধায়ক, পশ্চিমবঙ্গ হজ কমিটির প্রাক্তন চেয়ারম্যান এবং দুবারের সাংসদ। সদ্য অনুষ্ঠিত
লোকসভা নির্বাচনে বসিরহাট থেকে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন। তাঁর পরিবারের সঙ্গে
ফুরফুরা শরীফে আমাদের পরিবারের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক রয়েছে। তাঁর স্ত্রী ও চার পুত্র
সহ পরিবারের সকলকে ও তাঁর দলকে আমি আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।’
বুধবার আল্লাহর
ডাকে সাড়া দিয়ে ইন্তেকাল করলেন বসিরহাট লোকসভার সাংসদ হাজী নুরুল ইসলাম। বুধবার দুপুর
একটা ১৫ মিনিটে তার নিজ বাসভবনে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বারাসতের বয়রা গ্রামে।
নিজ বাড়িতে ৬৩ বছর বয়সে তিনি ইন্তেকাল করেছেন। তাঁর ইন্তেকালে শোকের ছায়া নেমে এসেছে
বসিরহাট সব গোটা উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলায়। মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তে ইতিমধ্যে তাঁর
বাড়িতে ভিড় জমিয়েছেন তৃণমূল কর্মী সমস্ত সহ বহু সাধারণ মানুষজন। তিনি রেখে গেছেন
স্ত্রী সহ চার পুত্র সন্তান।
সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে বসিরহাট লোকসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে প্রার্থী করেছিলেন। প্রায় তিন লক্ষেরও বেশি ভোটে বসিরহাট
লোকসভা থেকে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিলেন হাজী নুরুল ইসলাম। এর আগে তিনি হাড়োয়া বিধানসভা
থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন।
২০০৯ সালেও বসিরহাট লোকসভা থেকে দাঁড়িয়ে তিনি
জয়ী হয়ে পার্লামেন্টে গিয়েছিলেন। এছাড়া হাজী নুরুল ইসলাম পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য হজ কমিটির
চেয়ারম্যান হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছিলেন।