Sun, September 29, 2024

ই-পেপার দেখুন

'সুজিত বসু লোক বসাচ্ছেন কম্পিটিশন করে, ‘হোয়াই..হোয়াই..হোয়াই? সল্টলেক নিয়ে তীব্র ধমক মমতার

ইমামা খাতুন

Published: 24 June, 2024, 07:04 PM
'সুজিত বসু লোক বসাচ্ছেন কম্পিটিশন করে, ‘হোয়াই..হোয়াই..হোয়াই? সল্টলেক নিয়ে তীব্র ধমক মমতার

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: পুর-পরিষবো সংক্রান্ত বৈঠকে একেবারে অগ্নিশর্মা তৃণমূল সুপ্রিমো। রীতিমতো ক্ষোভে ফেটে পড়েন তিনি। রাজ্যের পুরসভাগুলির চেয়ারম্যানদের সঙ্গে সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষোভের মুখে পড়েন রাজ্যের মন্ত্রীরাও। পাশাপাশি সরকারি আধিকারিকদেরও সাবধান করলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। এদিন  বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, একটা করে ত্রিপল টাঙাচ্ছে আর বসে পড়ছে। কত টাকার বিনিময়ে এই বেআইনি কাজবাজ চালাচ্ছেন আপনারা? কত টাকার বিনিময়ে, কারা নিয়েছে এই  টাকা? কেন এখানকার কাউন্সিলররা কাজ করেন না? এআরডি অফিস চত্বর পর্যন্ত ছাড় দেয়নি। একটা করে ত্রিপল লাগাচ্ছেন বসে পড়ছেন। কেন? হোয়াই…হোয়াই…হোয়াই? 

মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, সুজিত বসু লোক বসিয়ে দিছে। সল্টলেকের কাউন্সিলররা কোনও কাজ করে না।যেখান সেখান থেকে লোক এনে পুরসভায় কাজ দিচ্ছে। যেখানে সেখানে দোকান বসে যাচ্ছে অনুমতি ছাড়াই।এবার কি আমাকে রাস্তায় ঝাঁটা দিতে হবে? রাস্তাঘাটে তাকানোই যায়না। বলতেও লজ্জা লাগছে। কারও কারও তো আবার অভ্যাস হয়ে গিয়েছে যতদিন আইসি, জেলাশাসক, এসডিও থাকব, কিছু গুছিয়ে নেব।  

এদিন  মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের নাম শোনা যায় মুখ্যমন্ত্রীর মুখে। তিনি বলেন, শট সার্কিট হচ্ছে খুব বেশি। অরূপ, এটা ঠিকভাবে দেখতে হবে। পুরসভাগুলি টাকা খেতে ব্যস্ত।

অন্যদিকে টেন্ডার নিয়ে রাজ্যের আধিকারিক এবং পুর চেয়ারম্যানদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন প্রশাসনিক প্রধান। তিনি জানান, কোনও টেন্ডার আমি লোকালি করতে দেব না। সব কেন্দ্রীয়ভাবে হবে। তাদের হাতেই তথ্য থাকবে।

এদিন শিলিগুড়ির পুরনিগমের মেয়র গৌতম দেবকেও কড়া বাক্য শোনান তিনি। সম্প্রতি জল সমস্যা নিয়ে গৌতম দেবকে দাঁড় করিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন মমতা । পাশাপাশি ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি এলাকায় ‘জমি মাফিয়া’দের বাড়বাড়ন্তের অভিযোগ তুললেন।  গৌতম, তুমি তোমার দায় অস্বীকার করতে পারো না। কাজ না হলেই এবার থেকে শাস্তির কোপে পড়তে হবে, চূড়ান্ত হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।   

 

কোচবিহারের নেতা রবীন্দ্রনাথ ঘোষকেও তোপ দাগেন তিনি।  কেন নিজের সিদ্ধান্তে হঠাৎ পুরসভার কর বাড়িয়ে দেওয়া হল? সেই প্রশ্ন উত্থাপন করেন তিনি। রাজ্যের উত্তর থেকে দক্ষিণ সমস্ত পুরসভাকেই কমবেশি মুখ্যমন্ত্রীর রোষের মুখে পড়তে দেখা যায়। যদিও শেষে তিনি বলেন, কাউকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করা আমার উদ্দেশ্য নয়। সবাই যাতে ভালো করে কাজ করে সেই জন্যই বলা। এর পর থেকে সকলে সতর্ক হয়ে স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করবেন বলেই তিনি আশাবাদী।  



 


 

Leave a comment