উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়,কুলতলি : কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে বাম আমলে নির্মিত সুন্দরবনের ঢাকি সেতু এখনো মানুষের চলাচলের যোগ্য হয়ে উঠলো না, ক্ষোভ সাধারণ মানুষের।আর এই সেতু চালু না হওয়ায় সমস্যায় রায়দীঘি, কুলতলি ও জয়নগর বিধানসভার কয়েকহাজার মানুষজন।
উল্লেখ্য,২৭ মার্চ ২০০৮সালে বামফ্রন্টের শাসন কালে জয়নগর ২ নং ব্লক ও মথুরাপুর ২ নং ব্লকের সংযোগকারী সোনাটিকারী নদীর ওপর ঢাকি সেতুর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপিত হয়।
আন্তর্জাতিক মাদক দিবসে, নেশার অপব্যবহার বোঝাতে বিশেষ অনুষ্ঠান হাওড়া সিটি পুলিশের
আজ থেকে চালু হল হাওড়া-বালিগঞ্জ রুটে লেডিস স্পেশাল বাস, খুশি মহিলাযাত্রীরা
দীর্ঘ ১৫ বছর শিকল বাঁধা অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে রায়দীঘির যুবক
তৎকালীন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় ও ভূমি সংস্কার দফতরের মন্ত্রী আব্দুল রেজ্জাক মোল্লার উপস্থিতিতে এই সেতুর শিলান্যাস করেন তাঁরা। রায়দিঘি বিধানসভার বিধায়ক তৎকালীন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী কান্তি গাঙ্গুলি তার সময়ে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ শুরু করলেও পরে তা বন্ধও হয়ে যায় বিধানসভা নির্বাচনের কারণে। আর এই নির্বাচনে তিনি রায়দীঘি থেকে পরাজিত হন দেবশ্রী রায়ের কাছে। আর তার পরে বেশ কয়েক বছর সেতুর কাজ বন্ধ হয়ে পড়ে।
সুন্দরবন উন্নয়ন দফতরের সহায়তায় আবার যুদ্ধকালীন তৎপরতায় দেবশ্রী রায়ের তত্ত্বাবধানে কাজ শুরু হলেও আবার আসে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচন। আর তাতেই রায়দিঘি বিধানসভা থেকে তৃণমূল কংগ্রেস দুবারের বিধায়ক দেবশ্রী রায়কে প্রার্থী না করে রায়দিঘির ভূমিপুত্র ডা: অলক জলদাতাকে প্রার্থী করে। তিনি জয়লাভ করে।
দীর্ঘদিন ধরে এলাকার মানুষজন একাধিক দফতরে সেতুর কাজ শুরু হওয়ার কথা জানানোর পর অবশেষে আবার কাজ শুরু হয়। এই সেতুর একদিকে কুলতলি বিধানসভার জয়নগর ২ নং ব্লকের ঢাকী অপরদিকে রায়দীঘি বিধানসভার কনকনদীঘি গ্রাম পঞ্চায়েতের পূর্ব জটা গ্রাম।দুই পাড়ের জমিজটের সমস্যায় ব্যাপক আকার ধারণ হয়। কুলতলি বিধানসভার অধীনে জয়নগর ২ নং ব্লকের চুপড়িঝাড়া ঢাকী সেতুটি কাজ শুরু হয়েও বন্ধ হয়ে যায়।
কুলতলিতে তৃণমূল কংগ্রেসের গণেশচন্দ্র মন্ডল বিধায়ক নির্বাচিত হন ২০২১ সালে।আর এরপরে দুই বিধানসভার সংযোগকারী ঢাকী সেতুর সংযোগ রোডের জমি জট কাটিয়ে সংযোগ রোডের মাটির কাজ শুরু হলেও বর্ষা নামায় কাজ বন্ধ।এই সেতুর বরাতকারী ঠিকাদার সংস্থা ঠিক মতো কাজ না করায় চরম দুর্দশায় ও দুরবস্থার মধ্যে তিনটি বিধানসভার কয়েক হাজারমানুষ জন।
বিশেষ করে কুলতলি থেকে যারা রায়দিঘি কলেজ কিম্বা রায়দীঘি গ্রামীন হাসপাতালে যায় তাদের খুবই সমস্যা পড়তে হয়। তাদের একমাত্র ভরসা খেয়া পারাপার।আর যাত্রী ঠিকমতো না হলে পারাপার সম্ভব হয়ে ওঠে না তার উপরে প্রাকৃতিক বিপর্যয় হলে তো আর কথাই নেই। চরম দুর্ভোগে পড়েন নিত্য যাত্রীরা।কবে এই নরক যন্ত্রণা থেকে রেহাইপাবে এই এলাকার মানুষ সে দিকে তাকিয়ে তাঁরা।
তবে এ ব্যাপারে রায়দীঘির বিধায়ক ডা: অলক জলদাতা ও কুলতলির বিধায়ক গনেশ চন্দ্র মন্ডল বলেন,থমকে থাকা ঢাকী সেতুর সংযোগকারী রাস্তার কাজ দ্রুত শেষ করে এই সেতু চালু করে দেওয়া হবে।আর সেই আশায় বসে এখন সুন্দরবনের মানুষ।