জলমগ্ন কলকাতা বিমান বন্দর, উড়ান পরিষেবা স্বাভাবিক
Bipasha Chakraborty
Published: 03 August, 2024, 08:57 PM
ইন্তেখাব আলম: গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপর সৃষ্টি হওয়া গভীর নিম্নচাপের পাশাপাশি স্বক্রিয় মৌসুমী অক্ষরেখার জেরে গত বৃহস্পতিবার থেকেই কলকাতা সহ দক্ষিণ বঙ্গের জেলাগুলিতে শুরু হয়েছে ভারি বর্ষণ। শুক্রবার সারাদিন কলকাতা সহ লাগোয়া শহরগুলি ভিজেছে বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিতে।কিন্তু শুক্রবার রাতভর টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়ে কলকাতার নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পার্কিং বে ছাড়াও ট্যাক্সি বে এলাকা।
যদিও মূল রানওয়েতে জল না জমায় উড়ান পরিষেবা স্বাভাবিক ছিল বলে বিমানবন্দর সূত্রের খবর।শুক্রবার রাতে প্রবল বর্ষণের জেরেই জলমগ্ন হয়ে পড়ে বিমানের পার্কিং বে এলাকা।
পার্কিং বে থেকে ট্যাক্সি বে পর্যন্ত জমা জল নিষ্কাশনের জন্য শনিবার ভোর থেকে চালানো হয় অতিরিক্ত পাম্প।শনিবার সাত-সকালেই জলমগ্ন ট্যাক্সি বে এলাকার জল বের করে দেওয়ার জন্য তড়িঘড়ি কাজে নামে বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষ। কলকাতা বিমান বন্দরের মুখ্য জন সংযোগ আধিকারিক রাজেশ কুমার বলেন, ‘শুক্রবার রাত থেকেই প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়।টানা কয়েক ঘন্টার ভারি বৃষ্টির ফলেই এয়ারপোর্টের ট্যাক্সি বে সহ বেশ কিছু এরিয়া জলমগ্ন হয়ে পড়ে।যাত্রী সুরক্ষা এবং উড়ান পরিষেবা স্বাভাবিক রাখার জন্য শনিবার সকাল থেকেই পাম্প চালানো হয়।’ বিমান বন্দরের রানওয়ে ঠিক থাকায় বিমানের ওঠা-নামা স্বাভাবিক ছিল বলেও তিনি জানান।
উল্লেখ্য, শুক্রবার সারা রাত ধরে চলা বৃষ্টির ফলে কলকাতার একাধিক একাধিক এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। ভিআইপি রোডের কৈখালি, হলদিরাম, লেকটাউন, পাতিপুকুর সহ দমদমের বিভিন্ন এলাকায় জল জমে যায়।শনিবার দুপুর পর্যন্ত ভিআইপি রোড লাগোয়া হলদিরাম এলাকায় জল জমে থাকায় ক্ষোভ উগরে দেন এলাকার বাসিন্দা সহ নিত্যযাত্রীরা।
অন্যদিকে, গত তিন দিনের প্রবল বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়ে দক্ষিণ বঙ্গের একাধিক জেলা। হুগলি, হাওড়া, দুই বর্ধমান এবং বীরভূম জেলার বিভিন্ন এলাকা কার্যত জলমগ্ন হয়ে পড়ে।অতি বৃষ্টির জেরে জল জমে যায় পশ্চিম বর্ধমানের অণ্ডাল বিমান বন্দরে। ফলে শুক্রবার অণ্ডালের কাজী নজরুল ইসলাম বিমান বন্দর থেকে বন্ধ হয়ে যায় উড়ান পরিষেবা।
অণ্ডাল বিমান বন্দরের প্যাসেঞ্জার লাউঞ্জ, সিকিউরিটি চেকিং জোন এবং কনভেয়ার বেল্ট এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ায় বাতিল করা হয় বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ এবং দিল্লিগামী তিনটি বিমান।কাজী নজরুল ইসলাম বিমান বন্দরের অধিকর্তা কৈলাশ মণ্ডল জানান, রানওয়ের পাশাপাশি প্যাসেঞ্জার লাউঞ্জ, টিকিট জোনে জল জমে যাওয়ায় শুক্রবার তিনটি বিমান বাতিল করা হয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে পুণরায় বিমান পরিষেবা চালু করার জন্য যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করে যাচ্ছেন কর্মী-আধিকারিকরা।