পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ভারতে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। ঊল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণ। বিশেষ
করে মুসলিম এবং খ্রিস্টানদের উপর সহিংস আক্রমণ, হত্যা এবং সংখ্যালঘু
উপাসনালয়ে ভাঙচুরের ঘটনা সংক্রামাত্মক হারে ছড়িয়ে পড়ছে। এটি একটি সামাজিক ব্যাধির আকার নিয়েছে। ধর্মীয় স্বাধীনতা একেবারে তলানিতে
ঠেকেছে। সম্প্রতি
এমনটাই অভিযোগ তুলে রিপোর্ট প্রকাশ করেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি সরকারি কমিশন। বৃহস্পতিবার সেই রিপোর্ট’কে ‘বিদ্বেষপূর্ণ’ বলে তোপ দাগে
বিদেশ মন্ত্রক।
একটি বিবৃতি জারি করে এমইএ (বিদেশ মন্ত্রণালয়)
বলেছে, ইউনাইটেড স্টেটস কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস
ফ্রিডম (ইউএসসিআইআরএফ) একটি “রাজনৈতিক এজেন্ডা সহ পক্ষপাতদুষ্ট সংস্থা। এরা বহু আগে থেকেই ভারতকে অপমানিত, লাঞ্ছিত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এই সংস্থা তথ্যকে ভুলভাবে উপস্থাপন
করে আন্তর্জাতিক স্থরে ভারতের নাম খারাপ করতে চাইছে। এই রিপোর্ট আমরা সমর্থন করি না।
উল্লেখ্য, মার্কিন কমিশন এদিন বিজ্ঞপ্তি জারি
করে আরও জানিয়েছে, ভারতে ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাচ্ছে সাধারণ মানুষের
ধর্মীয় স্বাধীনতা। স্বাধীনভাবে
ধর্মাচারণ করতে বাঁধা পাচ্ছেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষরা।
ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র থেকে ‘উদ্বেগের রাষ্ট্রে’ পরিণত হচ্ছে ভারত। আর এই সব কর্মকাণ্ডে মদত দিচ্ছেন সরকারি
আধিকারিকরাই! ওই সরকারি আধিকারিকরা আবার নির্বাচনী
প্রচারের নামে ঘৃণা ভাষণ দিচ্ছেন।
সেইসঙ্গে, বহু ভুল তথ্য
ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করছেন।
ইউএসসিআইআরএফ-এর বার্ষিক রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, কী ভাবে চলতি বছরে নীতিপুলিশদের হাতে বহু মানুষ খুন হয়েছেন। কী ভাবে মিথ্যা অভিযোগে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের
গণপিটুনি থেকে হত্যা ব্যাধির রূপ নিয়েছে।
কী ভাবে সংখ্যালঘু ধর্মীয় গুরুদের নির্বিচারে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এই ধরনের ঘটনা ধর্মীয় স্বাধীনতার চরম বিরোধী ও
পরিপন্থী। অত্যন্ত দুর্ভাগ্যভাগ্যজনক
ঘটনা যে কেন্দ্রাসীন সরকার সংবিধানপ্রদত্ত মানবাধিকার রক্ষা করতে চূ়ড়ান্ত ব্যর্থ
হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট রিপোর্টে ইউনিফর্ম সিভিল কোড এবং রাজ্যস্তরে ধর্মান্তরবিরোধী ও গোসম্পদ
রক্ষা সংক্রান্ত একাধিক নতুন ও সংশোধিত আইন প্রবর্তনেরও কঠোর সমালোচনা করা হয়েছে। সিএএ, এনআরসির কথাও উল্লেখ রয়েছে তাতে।
এই বিষয়ে বিদেশ মন্ত্রকের অফিসিয়াল মুখপাত্র, রণধীর জয়সওয়াল সাংবাদিকদের দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, রিপোর্টটিতে ভারতকে মিসলিড করা হয়েছে। যা ভারতের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বৈকি
কিছু নয়। রাজনৈতিকভাবে
উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।