কলকাতাThursday, 3 October 2024
  1. আজকের শিরোনাম
  2. ইতিহাস-ঐতিহ্য
  3. ক্রাইম
  4. খেলা
  5. জেলা
  6. দেশ
  7. ধর্ম ও দর্শন
  8. পর্যটন
  9. ফোটো গ্যালারি
  10. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  11. বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
  12. বিনোদন
  13. বিশ্ব-জাহান
  14. ব্লগ
  15. ভ্রমণ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়তে চায় বাংলাদেশ জামায়াত

mtik
October 3, 2024 6:31 pm
Link Copied!

গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশের শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে। এখন ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দেশটিতে নানা সংস্কারমূলক কাজ করছে। এরই মাঝে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলি ময়দানে নেমেছে। বিএনপি, জামায়াত বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান দল। জামায়াতকে আওয়ামী লিগ সরকার নিষিদ্ধ করলেও তা প্রত্যাহার করেছে ইউনূস সরকার। জামায়াত ভারতকে কেমনভাবে দেখছে তা এখন লাখ টাকার প্রশ্ন। দেশটিতে জামায়াত প্রচণ্ড জনপ্রিয় এখন। ভারতের সঙ্গে কেমন সম্পর্ক চায় জামায়াত? তা খোলাসা করেছেন দলটির সর্বোচ্চ নেতা ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, আমরা পরস্পর প্রতিবেশী। চাইলেই প্রতিবেশী বদল করা যায় না। অতীতে ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতের সুসম্পর্ক ছিল দাবি করে দলটির আমীর বলেন, শেখ হাসিনার গত সাড়ে ১৫ বছরে জামায়াত-ভারত সম্পর্ক যে একেবারে ছিল না তা কিন্তু নয়। তবে সেটা অনেকখানি শীতল ছিল। তবে আমাদের প্রত্যাশা এখন সম্পর্ক বাড়বে। এ ক্ষেত্রে আমরা উদার, আশা করি ভারতও ইতিবাচক থাকবে। ডা. শফিক আরও বলেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক হতে হবে সৎ প্রতিবেশীসুলভ। যেখানে কোনো দাদাগিরি থাকবে না। থাকবে পরস্পরের প্রতি যথাযথ মর্যাদা ও সম্মান। জামায়াত উদ্দেশ্যমূলকভাবে ভারত বা কারও সমালোচনা করে না দাবি করে তিনি বলেন, ভারত কষ্ট পাক এমন কিছু আমরা করিনি, করতেও চাই না। তবে রাজনৈতিক দল হিসেবে দেশের স্বার্থ সমুন্নত রাখতে সমালোচনামুখর হওয়াটা আমাদের দায়িত্ব। কারণ আমরা মানুষের জন্য রাজনীতি করি। এটাকে ভারত বিরোধিতা বা তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান বলে মনে করার কোনো কারণ নেই। জামায়াতের আমীর বলেন, আওয়ামী লীগ ভারতের দালাল, আর জামায়াত অন্য দেশের এমন কথা অনেকে বলেন। কিন্তু কাউকেই ‘দালাল’ বলে ট্যাগ দেওয়ার রাজনীতি আমি অন্তত করি না। জামায়াত কখনো ধ্বংসাত্মক কাজে জড়িত ছিল না, এখনো নেই। আমরা চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি, যদি কোথাও প্রমাণিত হয় যে, আমাদের একজন কর্মী সন্ত্রাস করেছে, তা হলে আমরা জাতির কাছে ক্ষমা চাইবো এবং নিজেরা নিজেদের আইনের হাতে সোপর্দ করবো। বরং জামায়াতের লোকজন মন্দির, হিন্দু বাড়ি-ঘর পাহারা দিয়েছে। আমরা সংখ্যালঘু বা সংখ্যাগুরু—এই বিভাজন মানি না। সবাই বাংলাদেশি, নাগরিক হিসেবে সবার মর্যাদা সমান।