ঢাকা, ৪ অগাস্ট: ফের নতুন করে আন্দোলনের জেরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পড়শী বাংলাদেশ। রবিবার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ডাকা সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলন ঘিরে ব্যাপক সংঘর্ষ হয় বিভিন্ন জায়গায়। নতুন করে সংঘর্ষ অন্তত ৩২ জন নিহত হয়েছেন বলে খবর। পরিস্থিতি সামাল দিতে ফের বাংলাদেশে কার্ফু জারি করা হচ্ছে। আজ, সন্ধ্যা ৬টা থেকে আবার অনির্দিষ্টকালের জন্য জারি হচ্ছে কার্ফু। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ঢাকা সহ সব বিভাগীয় সদর, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, শিল্পাঞ্চল, জেলা সদর এবং উপজেলা সদরে তা বলবৎ করা থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের জনসংযোগ আধিকারিক মোহাম্মদ শরীফ মাহমুদ। অন্যদিকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে মোবাইল ইন্টারনেট। ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ এবং ইনস্টাগ্রাম বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।
সূত্রের খবর, রবিবার একাধিক সরকারি অফিসে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। একপর্যায়ে পুলিশকে পিছু হটতে হয়। তখন আন্দোলনকারীরা থানার গেট ভাঙচুরের চেষ্টা চালায়। পরে থানার মধ্যে থেকে পুলিশ আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। ঘটনায় ১২ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে দু'জনের মৃত্যু হয়। বাকিরা বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এছাড়াও বগুড়ার সাতমাথায় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ রণক্ষেত্র হয়েছে পুরো শহর৷ বিটিসিএল, জেলা আওয়ামী লীগ, ছাত্র ইউনিয়ন কার্যালয়ে আগুন দেওয়া হয়েছে। ভাঙচুর করা হয়েছে মুজিব মঞ্চ, বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল।