ওয়াশিংটন, ২ সেপ্টেম্বর: আগামী ৫ নভেম্বর আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। বর্তমানে প্রচার প্রচারণায়
ব্যস্ত সময় পার করছেন দুই প্রেসিডেন্ট প্রার্থী। নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে
ততই জনপ্রিয়তার শিখরে উঠছেন ডেমোক্র্যাট কমলা হ্যারিস। তবে যেকোনও মূল্যে কমলাকে ঠেকাতে
মরিয়া রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্প। নাটকীয় ভাবে বাইডেনের চলে যাওয়ার ঘটনা ট্রাম্পের জন্য খুব একটা
সুখের হয়নি। কমলা হ্যারিস বাইডেনের স্থলাভিষিক্ত হওয়ার পর থেকেই বদলে গিয়েছে প্রেক্ষাপট।
এখন ড্রাইভিং সিটেই রয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত কন্যা। বেশিরভাগ জনমত সমীক্ষায় এগিয়ে রয়েছেন
কমলা হ্যারিস। রয়টার্সের
সর্বশেষ জাতীয় জনমত সমীক্ষা অনুসারে, সারা দেশে ট্রাম্পের চেয়ে কমলা হ্যারিস চার পয়েন্টে এগিয়ে। শুধু তাই নয় ট্রাম্পপন্থী ফক্স
নিউজের সর্বশেষ সমীক্ষাতেও চারটি অঙ্গরাজ্যের তিনটিতে এগিয়ে কমলা। ৫৯ বছর বয়সী কমলার এমন অব্যাহত
সাফল্যে দিশেহারা দেখাচ্ছে ৭৮ বছরের ট্রাম্পকে। তাই কমলাকে কটাক্ষ করে একের পর এক মন্তব্য করছেন তিনি। ট্রাম্পের মন্তব্যে রিপাবলিকানরাও
বিব্রত হচ্ছে। সম্প্রতি
ট্রাম্পের বিরামহীন মিথ্যে আর অসামাঞ্জস্যপূর্ণ কথাবার্তা শুনে তার মানসিক ভারসাম্য
নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। লস অ্যাঞ্জেলেস
টাইমস বলছে, ‘লোকটা আসলে
মানসিক রোগে ভুগছেন।’ পাবলিক
রেডিও এনপিআর জানিয়েছে, ফ্লোরিডায়
মার–আ–লাগো বাসভবনের সংবাদ সম্মেলনে
ট্রাম্প ১৬২টি মিথ্যা কথা বলেছেন। ওয়াশিংটন
পোস্ট বলছে, গত চার বছরে ট্রাম্প ৩০ হাজারেরও বেশি মিথ্যা বলেছেন যা প্রতিদিনের গড়ে
দাঁড়ায় ২১টি। কমলা ঝড়ে বিপর্যস্ত ট্রাম্প এখন ঘুড়ে দাঁড়াতে প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছেন
ঠিকই কিন্ত নিজেকে সংযত না করলে ভোটে সুফল মেলা কঠিন হবে তার পক্ষে।