বেইরুট, ২৮ সেপ্টেম্বর: গাজার শাসকদল হামাসের প্রধান নেতা ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার কয়েক মাস পর হিজবুল্লাহর মহাসচিব হাসান নাসরুল্লাহকেও হত্যা করল ইসরাইল। শুক্রবার লেবাননের রাজধানী বেইরুটে ইসরাইলি বিমান হামলায় নিহত হন হিজবুল্লাহ প্রধান নেতা হাসান নাসরুল্লাহ ও তার কয়েকজন খাস সঙ্গী। এই হামলায় নাসরুল্লাহর মেয়ে জয়নাব নাসরুল্লাহও নিহত হয়েছেন বলে খবর। প্রতিরোধ ফ্রন্টের অন্যতম এই নেতার শাহাদাতে শোকের ছায়া নেমেছে লেবানন, ইয়েমেন, ইরান ও ইরাকের মতো দেশে। লেবাননের রাজধানীতে ইসরাইলি হামলায় হিজবুল্লাহ প্রধানের নিহত হওয়ার খবর এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছে ইরান-সমর্থিত লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠীটি। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘হিজবুল্লাহর সেক্রেটারি জেনারেল হাসান নাসরুল্লাহ সংগঠনটির শহিদ কমরেডদের তালিকায় যোগ দিয়েছেন। তিনি আমাদের ৩০ বছর ধরে নেতৃত্ব দিয়েছেন।’ ইসরাইলের এই হামলার পর মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের সমীকরণ বদলে যেতে পারে। বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, এক ভয়াবহ যুদ্ধ বেধে যেতে পারে ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে। নাসরুল্লাহর শাহাদাতের খবরে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা প্রতিরোধ আন্দোলনগুলিকে আরও একজোট হয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। বিশ্বের সকল মুসলিমকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে প্রতিরোধের যুদ্ধে সামিল হতে বলেছেন আলি খামেনি। প্রিয় নেতাকে হারানোর খবরে লেবাননে নাসরুল্লাহর পোস্টার ও ছবি হাতে শোকমিছিল করতে দেখা গিয়েছে বহু মানুষকে। প্রত্যেক লেবানিজ এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ চাইছেন। প্রধান নেতার শাহাদাতের পর ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা করেছে হিজবুল্লাহ। একইসঙ্গে গাজা, ফিলিস্তিন ও লেবাননের জনগণকে রক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে হিজবুল্লাহ।