হাটসেরান্দি (নানুর), ২৭ সেপ্টেম্বর : আত্মীয়দের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে চান না, নানুরের হাটসেরান্দি গ্রামের বাড়িতে এসে স্পষ্ট করলেন অভিমানী অনুব্রত মণ্ডল।
উল্লেখ্য, দুর্গাপুজোর তদারকি করতে ২ বছর পর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে আসেন তিনি৷ এবার পুজো গ্রামের গরীব মানুষদের সঙ্গেই কাটাবেন, এমনটাই জানান তিনি৷ অর্থাৎ, গত ২ বছরের আত্মীয়দের সহযোগিতা না পাওয়ার ক্ষোভ রয়েছে তার মনে। এবার পুজোয় গ্রামের বাড়িতে সেই খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন করবেন না অনুব্রত। কারন হিসাবে জানান, ‘আর্থিক অবস্থা ভালো নেই।’
২০ সেপ্টেম্বর গোরু পাচার ও আর্থিক তছরুপের মামলায় দিল্লির রাউস এভিনিউ আদালত থেকে জামিন পান অনুব্রত মণ্ডল। ২ বছর পর ২৪ সেপ্টেম্বর বোলপুরের নীচুপট্টীর বাড়িতে মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলকে নিয়ে ফেরেন তিনি৷ বৃহস্পতিবার প্রথম দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। সেখানেই অনুশোচনা করে অনুব্রত মণ্ডল বলেছিলেন, “পাপের শাস্তি পেয়েছি।”
এদিন, মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলকে নানুরের হাটসেরান্দি গ্রামের বাড়িতে আসেন। আগেই জল্পনা ছিল, ২ বছর পর গ্রামের বাড়ির দুর্গাপুজোয় যোগ দেবেন৷ সেই মত দেখা গেল দেবীপক্ষের আগে পুজোর তদারকি করতে আসেন তিনি৷ তাঁকে দেখতে গ্রামের মানুষজন ভিড় জমান৷ প্রায় শতাধিক বছরের প্রাচীন অনুব্রতর মণ্ডলবাড়ীর পুজো। মন্দিরে প্রমাণ করেন তিনি৷
তারপর সাংবাদিক প্রশ্নে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “আমার পৈত্রিক বাড়ি৷ আমার দাদু-বাবা এই গ্রামে জন্মেছেন৷ এখানে বড় হয়েছেন৷ তাই গ্রামের বাড়িতে এলাম৷ পুজোয় সপ্তমীর দিন আসব৷”
তিনি আরও বলেন, “এবার আর খাওয়া-দাওয়া করাবো না। আমার আর্থিক অবস্থা সেই রকম নেই।”
২ বছর পর পরিজনের সঙ্গে কথা হল? প্রশ্ন করতেই অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “আমার তো গ্রামের গরীব মানুষ বেশি। আমি রক্তের সম্পর্কের কারো সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে চাইছি না।”
অর্থাৎ, আত্মীয়দের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে চান না অনুব্রত৷ গ্রামের বাড়িতে এসে এমনটাই স্পষ্ট করলেন তিনি৷ উল্লেখ্য, ২ বছর কোন আত্মীয় সেভাবে পাশে থাকেনি৷ সহযোগিতা করেনি। এই অভিযোগ ও ক্ষোভ রয়েছে তার মনে৷