পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক:আরজি কর কাণ্ডে হাসপাতালে হামলার ঘটনায় বিস্ফোরক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমার আন্দোলনরত ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি পূর্ণ সমর্থন আছে। তবে গতকালে যে ঘটনা তারা আন্দোলন করতে কেউ আসেনি, এরা সকলেই বহিরাগত। রাম-বাম মিলে এই কাজ করেছে। আমার কাছে তিনটে তিনটে ভিডিয়ো আছে, সেখানে ডিওয়াইএফআই-এর পতাকা হাতে দেখেছি। এদিন তিনি বলেন, আরজিকর কাণ্ডে ডাক্তার পড়ুয়ার সঙ্গে যা হয়েছে তা মেনে নেওয়া যায় না। আমার তাঁর পরিবারের প্রতি পূর্ণ সহমর্মিতা আছে। যে এই ধরনের অপরাধ ঘটিয়েছে তার শাস্তি চাই। মাঝে মধ্যে এই ধরনের ঘটনা ঘটে যায়। এটা এক ধরনের সামাজিক ব্যাধি। এর মতো জঘন্য মানুষের সমাজে বেঁচে থাকার দরকার নেই। ফাঁসি দিয়ে দাও। আমরা কাল ফাঁসির দাবিতে রাস্তায় নামছি।
এদিক পুলিশের ওপর আক্রমণের তীব্র নিন্দা করে বলেন, পুলিশের ওপর বর্বরোচিত আক্রমণ শানানো হয়েছে। নিরাপত্তা কে দেয়, কারা দেয় সেটা আমরা ভুলে যাই। দুর্গাপুজোর সময় কে দেয় সাধারণ মানুষকে নিরাপত্তা। আমার তিনজন পুলিশ কর্মীকে প্রথমে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে দেখা যায়, একজন অচৈতন্য, মাথা ফেটে রক্ত বের হচ্ছে।
২১ শে'র মঞ্চে দাঁড়িয়ে আবেগে ভাসলেন অখিলেশ
আরজি কর কাণ্ডে আর্থিক দুর্নীতি মামলায় ফের সন্দীপ ঘোষের স্ত্রীকে তলব ইডির
২১ শে জুলাইয়ের উন্মাদনা তুঙ্গে, সকাল থেকেই মানুষের ঢল হাওড়া স্টেশনে, মিছিল করে হেঁটে, লঞ্চে বা বাসে
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসকদের কর্মবিরতিতে বেশ কয়েকজন মারা গেছেন বলে শুনেছি।এবার চিকিৎসকদের সব দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে,এবার তাদের কাছে ফিরে আসা প্রয়োজন। আমি শুনেছি অনেকেই বলছেন তাদের রোগীদের আর এখানে ফেরে রাখবেন না, কারণ তারা চিকিৎসা পাচ্ছে না। মানুষগুলো খুব গরীব, বহু দূর গ্রাম থেকে তারা এখানে আসে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে বিনামূল্যে পরিষেবা নিতে, পরিষেবা না পেয়ে ফিরে যাওয়া ছাড়া আর উপায় নেই।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, সোশ্যাল মাধ্যমে থেকে পাওয়া গুজবে কেউ কান দেবেন না। এখন এ আই-এর যুগে অনেক কিছু হয়। আমার মাথা কোনও শরীরে বসিয়ে বক্তব্য বসিয়ে দেওয়া যেতে পারে। আমি বক্তব্য দিলে বড়জোর ট্যুইট করব, বা সাংবাদিকদের সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলব।
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, এখন সিবিআই তদন্তভার নিয়েছে, আন্দোলন রত ছাত্রদের যদি কিছু বলার থাকে তাহলে সেখানে তারা বলতে পারে। আমরা দোষীর ফাঁসির দাবিতে আগামীকাল পথে নামছি।