আরজি কর হাসপাতালে এসে চিকিৎসা পাচ্ছি, জানালেন রোগীরা
বিধাননগরে ফ্রি পার্কিং ও নো পার্কিং জায়গা ঠিক করতে বললো কলকাতা হাইকোর্ট
রাজ্যের একাধিক জেলায় ফের বৃষ্টির সম্ভাবনা
পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: রাজনীতি 'রাজনীতি'র জায়গায় আর সৌজন্য অন্য সম্পর্ক, হৃদ্যতার জায়গায়। সেটিই দেখা গেল বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের অন্তিম যাত্রায়।। গতকালই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ট্যুইট করে শোকজ্ঞাপন করেছেন। দুজনেই চূড়ান্ত বিরোধী পক্ষ, কিন্তু সৌজন্যের খামতি দেখা যায়নি। আজও সেই একই দৃশ্য দেখা গেল বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের অন্তিম যাত্রায়। রাজনৈতিক দলগুলি মিলে মিশে এক হয়ে গেল। আজ রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর পায়ের সামনে দাঁড়িয়ে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে দেখা গেল তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ছিলেন ফিরহাদ হাকিম। ওপর দিকে দেখা যায় বিজেপি শুভেন্দু অধিকারিকে।
রাজনৈতিক জীবনে পরস্পরের যুযুধান ছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাকে ক্ষমতাচ্যুত করেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের ক্ষমতা দখল করেন। কিন্তু শেষ যাত্রায় রাজনীতি নয় দেখা গেল সৌজন্য বোধ। বরাবরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সৌজন্য বোদ পালন করতে দেখা গেছে। বিরোধী বলে সৌজন্য দেখাতে কখনও পিছপা হননি তিনি। দলকে সেই নির্দেশ দিয়ে আসছেন তিনি । এবারেও রাজ্যের সেই শোকের আবহে সেই সৌজন্যবোধই দেখা গেল।
অসুস্থ থাকার সময় মমতা একাধিকবার বুদ্ধদেবের বাড়িতে গিয়েছেন তাঁকে দেখতে। ছিল মীরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হৃদ্যতার সম্পর্ক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, রাজনীতি জায়গায়, রাজনীতি রাজনীতি জায়গায়। ব্যক্তিগত সম্পর্ক ব্যক্তিগত সম্পর্কের জায়গায়। রাজনীতি আর মানবিকতা আলাদা। রাজনীতি মানবিকতাকেই সবচেয়ে আগে সম্মান জানায়। খুব খারাপ লাগছে। ওর মুখটা মনে পড়ছে ওঁর স্ত্রী খুব ভালো। যখনই ওর বাড়িতে গিয়েছি, ওঁর যত্ন করে সম্মান দিয়ে কথা বলতাম'।
মমতা জানিয়েছেন, 'আমরা রাজ্য সরকারের তরফে থেকে ওর শেষযাত্রায় সমস্ত শ্রদ্ধা দিয়ে যাবতীয় সহযোগিতা করব। ওর দলের সিধান্ত অনুযায়ী যেখানে ওরা অন্তিমযাত্রায় ওকে নিয়ে যেতে চান, তার সুষ্ঠু দেখভালের দায়িত্ব রাজ্য সরকারের। যদি ওরা নন্দনে বা বিধানসভায় ওকে নিয়ে যেতে চান, আমরা সমস্ত সহযোগিতা করব। আর যেখানে ওরা ওকে শায়িত রাখার সিদ্ধান্ত নেবেন, আমি সেখানেই গিয়ে ওকে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়ে আনব'।