Fri, September 20, 2024

ই-পেপার দেখুন

হজ করা সহজ কিন্তু হজের শিক্ষার উপর কায়েম থাকা কঠিন:  পীর ইমরান

Bipasha Chakraborty

Published: 29 July, 2024, 02:13 PM
হজ করা সহজ কিন্তু হজের শিক্ষার উপর কায়েম থাকা কঠিন:  পীর ইমরান
ফুরফুরা দরবার শরীফে জমিয়তে উলামায়ে বাংলা'র উদ্যোগে গুণীজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মিরাজুল ইসলামকে সংবর্ধিত করছেন পীর ইমরান উদ্দিন সিদ্দিকী, সংখ্যালঘু কমিশনের চেয়ারম্যান আহমদ হাসান ইমরান, বিধায়ক কাজী আবদূর রহিম, সম্পাদক সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন প্রমুখ। (ছবি-খালিদুর রহিম)

হাজী সাহেবানদের ইসলামের দূত হিসেবে কাজ করতে হবে: ইমরান

   

 

 

ইনামুল হক:  আল্লাহর মেহমান হিসেবে হজ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে হাজীরা ফিরে এসে ইসলামের দূত বা অ্যাম্বাসডার হিসেবে দ্বীনের দাওয়াত, সৃষ্টির সেবা (খিদমতে খ্বালক), ইবাদত-বন্দেগী ও জিকির-আযকারের মডেল হয়ে উঠবেন। তাঁরা নিষ্পাপ হয়ে ফিরে এসেছেন। তাঁদের জীবন যেন হিন্দু-মুসলিম সবাইকে অনুপ্রাণিত করে। জমিয়তে উলামায়ে বাংলার উদ্যোগে রবিবার ফুরফুরা দরবার শরীফে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হাজী  ও কৃতি ছাত্রদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাজ্য সংখ্যালঘু কমিশনের চেয়ারম্যান, প্রাক্তন সাংসদ ও পুবের কলম পত্রিকার সম্পাদক আহমদ হাসান ইমরান এমনই বক্তব্য রাখেন।

তিনি বলেন, ইসলাম সন্ন্যাসকে সমর্থন করে না। কিন্তু হজের ক’টা দিন হাজী সাহেবরা সন্ন্যাসীর মতোই সব কিছু ত্যাগ করে আল্লাহ দিকে মুখ করেন। তাঁদের উপর আল্লাহর রহমত নাযিল হয়। তিনি নারীদের প্রসঙ্গে হজ প্রক্রিয়ায় সাফা ও মারওয়ার মধ্যে জোরে চলা ও দৌড়ের প্রসঙ্গে মা হাজেরার প্রতি সম্মানের ঘটনা তুলে ধরে ইসলামে নারীর মর্যাদার কথা ব্যাখ্যা করেন।

তিনি বলেন, একজন অর্থাৎ মা হাজেরার সম্মানেই কেয়ামত পর্যন্ত হাজী ও হাজ্জীনরা এই নিয়ম পালন করবেন। পাশাপাশি নবীজীর (সা.) নারীদের হজব্রতে অংশগ্রহণের সম্মতির প্রসঙ্গও তুলে ধরেন। আহমদ হাসান ইমরান বলেন, সাম্প্রতিকালে হজযাত্রীদের এয়ারপোর্টে অভ্যর্থনায় উপস্থিত থেকে দেখেছি মহিলা হজযাত্রীদের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে, এখন তরুণ-তরুণীরাও বেশি করে হজব্রত পালনে অংশগ্রহণ করছেন। ফিলিস্তিনে যায়নবাদী ইহুদি সেনাদের দ্বারা নিহত ৪০ হাজার ফিলিস্তিনি নারী, পুরুষ ও মুজাহিদদের জন্য এবং বাংলাদেশের সাম্প্রতিককালের ঘটনায় নিহত ছাত্রযুবদের জন্য আল্লাহর নিকট দোয়া করার আহ্বান জানান। দাদা হুজুর রহ.-এর সিলসিলাকে উজ্জীবিত করতে তরুণ, আলমে দ্বীন ও শিক্ষিত পীরজাদারা যেভাবে পীর ইমরান সিদ্দিকী সাহেব  আহ্বান  এই অনুষ্ঠানে সমবেত হয়েছেন তার প্রশংসা করেন ইমরান। ইনামুল হক

পীরজাদা মাওলানা ওজায়ের সিদ্দিকী বলেন, এক সময় উর্দু অনুসারি আলেমরা ফতোয়া দিয়েছিলেন বাংলা ভাষায় কুরআনের তরজমা, হাদিস, ইসলামী বইপত্র লেখা যাবে না। ফুরফুরার পীর ও প্রখ্যাত আলেম দাদা হুজুর আবুবকর সিদ্দিকী (রহ.) বলেন, এটা ভুল ব্যাখ্যা। এই ভুল ফতোয়ার বিরুদ্ধে তিনি অনুসারিদের বাংলায় ইসলাম চর্চা করার নির্দেশ দেন। বাংলা ভাষায় ২০০০-এর বেশি কিতাব এবং ৩০৩-টির বেশি বাংলা পত্রিকার পৃষ্ঠপোষক ছিলেন দাদা হুজুর (রহ.)।

তিনি নিজে হাতে গড়েছিলেন প্রায় ৭০০টির মতো মাদ্রাসা বা স্কুল এবং উচ্চ শিক্ষার জন্য আলিয়া মাদ্রাসার সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের দিশা দেখিয়েছিলেন তিনি। এছাড়া একদা এই দেশের থেকে সামাজিকভাবে হজে যাওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীকালে বিখ্যাত কিছু আলিমে দ্বীনের উদ্যোগে তা স্বাভাবিক হয়। দাদা হুজুর (রহ.) তিনিও প্রচুর ঈমানদারকে হজে নিয়ে গিয়েছেন। মুসলিমদের মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠায় দাদা হুজুর (রহ.) মোহাম্মদী পত্রিকা-সহ তৎকালীন সময়ের সমস্ত ইসলামী পত্র-পত্রিকাকে সহযোগিতায় উদ্বুদ্ধ করার পাশাপাশি আহলে হাদীস-এর মাওলানা আকরাম খাঁ-এর মতো ব্যক্তিদের সঙ্গে মতবিনিময়ের মাধ্যমে সম্পর্ক সুদৃঢ়  রেখেছিলেন। এতে তাঁর উদার মানসিকতার পরিচয় পাওয়া যায়। তিনি সমস্ত দল ও সিলসিলাকে নিয়ে ইসলামের জন্য কাজ করতেন। 
জমিয়তে উলামায়ে বাংলার সভাপতি পীর মুফতি মাওলানা ইমরান উদ্দিন সিদ্দিকী বলেন, তাওফুজে দ্বীন (দ্বীনের সুরক্ষা) ও খিদমতে খ্বালক দাদা হুজুরের এই দুই শিক্ষাকে সামনে রেখে শতাধী প্রাচীন এই সংগঠনের কর্মীরা কাজ করে চলেছেন। আমরা ২৫০জন হাজীকে সংবর্ধনা দিলাম। এছাড়া শিক্ষা ও স্বাস্থ্যক্ষেত্রে জমিয়তে উলামায়ে বাংলার নানা কর্মসূচি সারা বছর ধরেই চলে। আয়লা, ইয়াস বিপর্যয়ের মতো দিনগুলোতেও সারা বাংলা জুড়ে আমাদের সংগঠন মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে।

এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে ইসলামের উপরে আক্রমণের প্রতিবাদ গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে করা হয়েছে। দাদা হুজুরের দেখানো পথেই এই কাজ আজও অব্যাহত রয়েছে। তিনি বলেন, মেজো হুজুরের মুখে শুনেছি যে, হজ করা সহজ। কিন্তু হজের পর তার মর্যাদা রক্ষা করা কঠিন। এই কথা আমাদের মনে রাখতে হবে। তিনি সকলকে নিয়ে দ্বীন ও সমাজের বিভিন্ন কাজ করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। যখন পীর ইমরান সিদ্দিকী বক্তব্য রাখছিলেন তখন অনুষ্ঠানস্থল ছিল কানায় কানায় পরিপূর্ণ। 
বক্তব্য রাখেন জমিয়েতে উলামায়ে বাংলার কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক পীর জামাতা মুফতি মাওলানা আজমতুল্লাহ সিদ্দিকী সাহেব। জমিয়তে উলামায়ে বাংলার সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন বলেন, শতাধী প্রাচীন এই সংগঠনের বর্তমান নানা কর্মসূচি ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, জমিয়তে উলামায়ে বাংলা রাজনীতি করে না। কিন্তু সমাজের বিপদ-আপদ এবং শিক্ষা-সহ নানা কাজে সবসময়  হিন্দু সলিম সকলের পাশে থাকে। 
এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক ও উত্তর ২৪ পরগনা জেলা কমিটির সম্পাদক সফিকুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি পীরজাদা মাওলানা মিনহাজ সিদ্দিকী , মাওলানা শওবান সিদ্দিকী, পীরজাদা তামিম সিদ্দিকী, পীরজাদা সানাউল্লাহ সিদ্দিকী, মাওলানা আফতাবউদ্দিন সিদ্দিকী, পীরজাদা তিবিয়ান সিদ্দিকী, নাবাবিয়া মিশনের সম্পাদক মাওলানা সাঈদ আকবর, বাদুড়িয়ার বিধায়ক কাজী আবদুর রহিম (দিলু) প্রমুখ। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার জনাব আজিজ উদ্দীন। 
এদিন হাজী সাহেবদের স্মারক, ব্যাগ ও আতর উপহার হিসেবে তুলে দেওয়া হয়। পাশাপাশি সংবর্ধনা জানানো হয় পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা পর্ষদের আলিম ও ফাজিল পরীক্ষায় কৃতি ছাত্রদের মধ্যে ফুরফুরা শরীফের সিনিয়র এবং হাইমাদ্রাসার ১১জনকে। এছাড়া হযরত পীর আল্লামা সাইফুদ্দিন সিদ্দিকী (রহ.) স্মৃতি পুরস্কার দেওয়া হয় ফুরফুরা ফাতেহিয়া সিদ্দিকিয়া খারিজিয়া দারুল হাদিস মাদ্রাসার মোহাদ্দিস মাওলানা মুফতি শেখ মেহেরাজুল ইসলামকে।

তিনি বাংলাদেশে  আয়োজিত বেক্সিমকো ইসলামিক আইকন আন্তর্জাতিক কুইজ প্রতিযোগিতায় ভারতের প্রতিনিধি হিসেবে প্রায় সাত হাজার জন প্রতিযোগীর মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করায় তাঁকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়। আখেরি মোনাজাত করেন সংগঠনের সভাপতি পীর মুফতি মাওলানা ইমরান উদ্দিন সিদ্দিকী। অনুষ্ঠানটি সুচারুভাবে সঞ্চালনা করেন শিক্ষক সৈয়দ এহেতাশাম মামুন।আল্লাহর মেহমান হিসেবে হজ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে হাজীরা ফিরে এসে ইসলামের দূত বা অ্যাম্বাসডার হিসেবে দ্বীনের দাওয়াত, সৃষ্টির সেবা (খিদমতে খ্বালক), ইবাদত-বন্দেগী ও জিকির-আযকারের মডেল হয়ে উঠবেন। তাঁরা নিষ্পাপ হয়ে ফিরে এসেছেন।ইনামুল হক: 
 

তাঁদের জীবন যেন হিন্দু-মুসলিম সবাইকে অনুপ্রাণিত করে। জমিয়তে উলামায়ে বাংলার উদ্যোগে রবিবার ফুরফুরা দরবার শরীফে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হাজী  ও কৃতি ছাত্রদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাজ্য সংখ্যালঘু কমিশনের চেয়ারম্যান, প্রাক্তন সাংসদ ও পুবের কলম পত্রিকার সম্পাদক আহমদ হাসান ইমরান এমনই বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, ইসলাম সন্ন্যাসকে সমর্থন করে না। কিন্তু হজের ক’টা দিন হাজী সাহেবরা সন্ন্যাসীর মতোই সব কিছু ত্যাগ করে আল্লাহ দিকে মুখ করেন। তাঁদের উপর আল্লাহর রহমত নাযিল হয়। তিনি নারীদের প্রসঙ্গে হজ প্রক্রিয়ায় সাফা ও মারওয়ার মধ্যে জোরে চলা ও দৌড়ের প্রসঙ্গে মা হাজেরার প্রতি সম্মানের ঘটনা তুলে ধরে ইসলামে নারীর মর্যাদার কথা ব্যাখ্যা করেন। তিনি বলেন, একজন অর্থাৎ মা হাজেরার সম্মানেই কেয়ামত পর্যন্ত হাজী ও হাজ্জীনরা এই নিয়ম পালন করবেন।

পাশাপাশি নবীজীর (সা.) নারীদের হজব্রতে অংশগ্রহণের সম্মতির প্রসঙ্গও তুলে ধরেন। আহমদ হাসান ইমরান বলেন, সাম্প্রতিকালে হজযাত্রীদের এয়ারপোর্টে অভ্যর্থনায় উপস্থিত থেকে দেখেছি মহিলা হজযাত্রীদের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে, এখন তরুণ-তরুণীরাও বেশি করে হজব্রত পালনে অংশগ্রহণ করছেন। ফিলিস্তিনে যায়নবাদী ইহুদি সেনাদের দ্বারা নিহত ৪০ হাজার ফিলিস্তিনি নারী, পুরুষ ও মুজাহিদদের জন্য এবং বাংলাদেশের সাম্প্রতিককালের ঘটনায় নিহত ছাত্রযুবদের জন্য আল্লাহর নিকট দোয়া করার আহ্বান নান। দাদা হুজুর রহ.-এর সিলসিলাকে উজ্জীবিত করতে তরুণ, আলমে দ্বীন ও শিক্ষিত পীরজাদারা যেভাবে পীর ইমরান সিদ্দিকী সাহেব  আহ্বানে  এই অনুষ্ঠানে সমবেত হয়েছেন তার প্রশংসা করেন ইমরান। 
পীরজাদা মাওলানা ওজায়ের সিদ্দিকী বলেন, এক সময় উর্দু অনুসারি আলেমরা ফতোয়া দিয়েছিলেন বাংলা ভাষায় কুরআনের তরজমা, হাদিস, ইসলামী বইপত্র লেখা যাবে না। ফুরফুরার পীর ও প্রখ্যাত আলেম দাদা হুজুর আবুবকর সিদ্দিকী (রহ.) বলেন, এটা ভুল ব্যাখ্যা। এই ভুল ফতোয়ার বিরুদ্ধে তিনি অনুসারিদের বাংলায় ইসলাম চর্চা করার নির্দেশ দেন। বাংলা ভাষায় ২০০০-এর বেশি কিতাব এবং ৩০৩-টির বেশি বাংলা পত্রিকার পৃষ্ঠপোষক ছিলেন দাদা হুজুর (রহ.)।

তিনি নিজে হাতে গড়েছিলেন প্রায় ৭০০টির মতো মাদ্রাসা বা স্কুল এবং উচ্চ শিক্ষার জন্য আলিয়া মাদ্রাসার সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের দিশা দেখিয়েছিলেন তিনি। এছাড়া একদা এই দেশের থেকে সামাজিকভাবে হজে যাওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীকালে বিখ্যাত কিছু আলিমে দ্বীনের উদ্যোগে তা স্বাভাবিক হয়। দাদা হুজুর (রহ.) তিনিও প্রচুর ঈমানদারকে হজে নিয়ে গিয়েছেন। মুসলিমদের মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠায় দাদা হুজুর (রহ.) মোহাম্মদী পত্রিকা-সহ তৎকালীন সময়ের সমস্ত ইসলামী পত্র-পত্রিকাকে সহযোগিতায় উদ্বুদ্ধ করার পাশাপাশি আহলে হাদীস-এর মাওলানা আকরাম খাঁ-এর মতো ব্যক্তিদের সঙ্গে মতবিনিময়ের মাধ্যমে সম্পর্ক সুদৃঢ়  রেখেছিলেন। এতে তাঁর উদার মানসিকতার পরিচয় পাওয়া যায়। তিনি সমস্ত দল ও সিলসিলাকে নিয়ে ইসলামের জন্য কাজ করতেন। 
জমিয়তে উলামায়ে বাংলার সভাপতি পীর মুফতি মাওলানা ইমরান উদ্দিন সিদ্দিকী বলেন, তাওফুজে দ্বীন (দ্বীনের সুরক্ষা) ও খিদমতে খ্বালক দাদা হুজুরের এই দুই শিক্ষাকে সামনে রেখে শতাধী প্রাচীন এই সংগঠনের কর্মীরা কাজ করে চলেছেন। আমরা ২৫০জন হাজীকে সংবর্ধনা দিলাম। এছাড়া শিক্ষা ও স্বাস্থ্যক্ষেত্রে জমিয়তে উলামায়ে বাংলার নানা কর্মসূচি সারা বছর ধরেই চলে। আয়লা, ইয়াস বিপর্যয়ের মতো দিনগুলোতেও সারা বাংলা জুড়ে আমাদের সংগঠন মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে।

এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে ইসলামের উপরে আক্রমণের প্রতিবাদ গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে করা হয়েছে। দাদা হুজুরের দেখানো পথেই এই কাজ আজও অব্যাহত রয়েছে। তিনি বলেন, মেজো হুজুরের মুখে শুনেছি যে, হজ করা সহজ। কিন্তু হজের পর তার মর্যাদা রক্ষা করা কঠিন। এই কথা আমাদের মনে রাখতে হবে। তিনি সকলকে নিয়ে দ্বীন ও সমাজের বিভিন্ন কাজ করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। যখন পীর ইমরান সিদ্দিকী বক্তব্য রাখছিলেন তখন অনুষ্ঠানস্থল ছিল কানায় কানায় পরিপূর্ণ। 
বক্তব্য রাখেন জমিয়েতে উলামায়ে বাংলার কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক পীর জামাতা মুফতি মাওলানা আজমতুল্লাহ সিদ্দিকী সাহেব। জমিয়তে উলামায়ে বাংলার সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন বলেন, শতাধী প্রাচীন এই সংগঠনের বর্তমান নানা কর্মসূচি ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, জমিয়তে উলামায়ে বাংলা রাজনীতি করে না। কিন্তু সমাজের বিপদ-আপদ এবং শিক্ষা-সহ নানা কাজে সবসময় হিন্দু- মুসলিম সকলের পাশে থাকে। 
এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক ও উত্তর ২৪ পরগনা জেলা কমিটির সম্পাদক সফিকুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি পীরজাদা মাওলানা মিনহাজ সিদ্দিকী , মাওলানা শওবান সিদ্দিকী, পীরজাদা তামিম সিদ্দিকী, পীরজাদা সানাউল্লাহ সিদ্দিকী, মাওলানা আফতাবউদ্দিন সিদ্দিকী, পীরজাদা তিবিয়ান সিদ্দিকী, নাবাবিয়া মিশনের সম্পাদক মাওলানা সাঈদ আকবর, বাদুড়িয়ার বিধায়ক কাজী আবদুর রহিম (দিলু) প্রমুখ। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার জনাব আজিজ উদ্দীন। 
এদিন হাজী সাহেবদের স্মারক, ব্যাগ ও আতর উপহার হিসেবে তুলে দেওয়া হয়। পাশাপাশি সংবর্ধনা জানানো হয় পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা পর্ষদের আলিম ও ফাজিল পরীক্ষায় কৃতি ছাত্রদের মধ্যে ফুরফুরা শরীফের সিনিয়র এবং হাইমাদ্রাসার ১১জনকে।

এছাড়া হযরত পীর আল্লামা সাইফুদ্দিন সিদ্দিকী (রহ.) স্মৃতি পুরস্কার দেওয়া হয় ফুরফুরা ফাতেহিয়া সিদ্দিকিয়া খারিজিয়া দারুল হাদিস মাদ্রাসার মোহাদ্দিস মাওলানা মুফতি শেখ মেহেরাজুল ইসলামকে। তিনি বাংলাদেশে  আয়োজিত বেক্সিমকো ইসলামিক আইকন আন্তর্জাতিক কুইজ প্রতিযোগিতায় ভারতের প্রতিনিধি হিসেবে প্রায় সাত হাজার জন প্রতিযোগীর মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করায় তাঁকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়। আখেরি মোনাজাত করেন সংগঠনের সভাপতি পীর মুফতি মাওলানা ইমরান উদ্দিন সিদ্দিকী। অনুষ্ঠানটি সুচারুভাবে সঞ্চালনা করেন শিক্ষক সৈয়দ এহেতাশাম মামুন।

Leave a comment